আপনি কি রাজ্য সরকারি কর্মচারী? সরকারকে এই তথ্যগুলি না দিলে বন্ধ হতে পারে ডিএ

আপনি যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিটি কর্মচারীকে এই তথ্য জমা দিতে হবে। এই তথ্য জমা না দিলে আপনি পড়তে পারেন মহাবিপদে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা প্রায় ৮.৩ লক্ষ। তার মধ্যে মাত্র ৫.৯ লক্ষ জন এতদিন অবধি এই তথ্য সরকারকে দিয়েছেন।

আগেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই তথ্য জমা দেওয়ার কথা সরকার বারবার করে বলেছিলেন। তা সত্বেও অনেক কর্মচারী সরকারকে এই তথ্য জমা দেয়নি। তবে সরকার এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি সরকারের কাছে এইসব তথ্য জমা করা না হয়, তাহলে এবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন সরকার। অনেক কর্মচারী যদিও এই তথ্য নির্দিষ্ট সময়ে সরকারকে দিয়েছেন। তবে সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় তিন লক্ষ সরকারি কর্মচারী এখনো অব্দি সরকারকে এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।

প্রতিটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য এখন এই তথ্য সরকারকে দেওয়া বাধ্যতামূলক। সময়মতো এই তথ্য জমা না করলে আপনি ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে পারেন। আগেই মুখ্যসচিবের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের এই তথ্য জমা দেওয়ার কথা উঠেছিল। নিয়ম অনুসারে, ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত কর্মীদের এই তথ্য জমা করতে হত। তবে অনেক কর্মী এই তথ্য জমা না করায় এবার নড়েচড়ে বসেছে সরকার।

আরও পড়ুন: বাজেটে বিপুল পরিমাণে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়োগ?

কিন্তু ঠিক কোন তথ্য জমা করতে বলেছে সরকারের তরফ থেকে? রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অবশ্যই প্রতিটি সরকারি কর্মচারীদের তাদের সম্পদের বিবরণ সরকারকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন সরকার। মুখ্যসচিব মনোজ কুমার সিং-র নেতৃত্বে সরকার নতুন সময়সীমা ধার্য করেছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি। তবে সরকার এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেউ যদি তাদের গোপনীয় তথ্য সরকারকে না দেন তাহলে মহাবিপদে পড়তে পারেন। সরকারি কর্মীরা এখন ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের সম্পদের তথ্য সরকারকে দিতে পারবেন। গ্রুপ এ ও বি কর্মকর্তারা ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে তাদের গোপনীয় তথ্য জানাতে পারেন।

সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সময়সীমার মধ্যে যদি এই সম্পদের বিবরণ সরকার না পায়, তবে কর্মীদের ডিএ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেই অনেকদিন ধরে ডিএ নিয়ে সরকারের সাথে ঝামেলা চলছিল। তার মধ্যে সরকারের কাছে কর্মীদের ব্যাপারে এই যথাযথ তথ্য না থাকলে সমস্যা আরো ঘনীভূত হতে পারে। এমনকি পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখে পড়তে পারেন কর্মীরা। তাই সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই নতুন সময়সীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মূলতঃ কর্মচারীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং কর্মীদের সম্পদ ট্র্যাক করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *