Mandarmani: মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ, পর্যটন ব্যবসায় অন্ধকারের ছায়া

Mandarmani: মন্দারমণি (Mandarmani) সৈকত নগরীতে বেআইনি হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Midnapore) জেলা প্রশাসন ১৪০টি হোটেল, হোম স্টে, এবং লজ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের (NGT) রায় কার্যকর করতেই নেওয়া হয়েছে এই কড়া পদক্ষেপ। কিন্তু উৎসবের মরশুমে এমন সিদ্ধান্তে হোটেল মালিকদের মাথায় হাত পড়ে গেছে। শীতকালীন পর্যটনের মুখে এই ঘটনা মন্দারমণির পর্যটন শিল্পকে গভীর সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রতীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল। অভিযোগ, এগুলির অধিকাংশই উপকূলীয় আইন (Coastal Regulation Zone Law) অমান্য করে তৈরি। জাতীয় পরিবেশ আদালত ২০২২ সালে বেআইনি হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি, জেলা প্রশাসন দাদনপাত্রবাড়, সোনামুই, সিলামপুর, মন্দারমণি এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে থাকা ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ জারি করেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাদনপাত্রবাড় (৫০টি হোটেল), মন্দারমণি (৩০টি হোটেল), এবং সোনামুই (৩৬টি হোটেল)।

শীতকালে মন্দারমণি সৈকত পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করেন পর্যটকরা। কিন্তু প্রশাসনের এই কঠোর নির্দেশে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের সংখ্যা কমেছে। হোটেল মালিকরা দাবি করেছেন, একসঙ্গে এতগুলো হোটেল ভাঙলে পর্যটন শিল্পে ধস নামবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

আরো পড়ুন: যাত্রী সুরক্ষার জন্য হেলমেটের মানদণ্ড স্থির করে দিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দপ্তর

হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত ছিল। তারা জানাচ্ছেন, এই ধাক্কা শুধু ব্যবসার ক্ষতি করবে না, বরং অসংখ্য মানুষের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেবে। স্থানীয় মানুষও পর্যটন বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনৈতিক দুরবস্থার আশঙ্কা করছেন। পরিস্থিতি এখন ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্কট সমাধানে প্রশাসন কী বিকল্প ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চাইছেন, আইন মেনে বিকল্প সমাধান বের করে মন্দারমণির (Mandarmani) পর্যটন শিল্পকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক।

পর্যটনের উপর নির্ভরশীল অসংখ্য মানুষ তাদের জীবিকা বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক স্থিতি বজায় রেখে সমস্যার সমাধান করতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পর্যটনশিল্পের এই সংকট রাজ্যের সামগ্রিক আর্থিক কাঠামোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *