Kolkata Yellow Taxis: শিয়ালদহ স্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে রোজ ভোর ছটা থেকে পরিষেবা দিয়ে আসছেন। বছর ৫৫-র কিশোর ঘোষের এইটাই রুটিন গত ৩৫ বছর ধরে। মাঝে আর কটা দিন তারপরেই শেষ হয়ে যাবে তার রোজকার রুটিনের এই অভ্যাসে। ট্যাক্সি নিয়ে পথে নামা হবেনা তার। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে সরকারের তরফে ১৫ বছরের পুরানো গাড়ি হিসেবে বাদ পড়তে চলেছে কলকাতার আড়াই হাজার হলুদ ট্যাক্সি (Kolkata Yellow Taxis)। একদিকে গাড়ি বাতিল অন্যদিকে এম্বাসেডর তৈরি করা বন্ধ করেছে হিন্দ মোটর। দুই দিকের সমস্যায় এবার কলকাতার রাস্তায় অন্য মডেলের ট্যাক্সি চালাবার দাবিতে পথে নেমেছেন ট্যাক্সি সংগঠনের সদস্যরা।
অভিযোগ উঠছে শহরের বুকে মোট হলুদ ট্যাক্সি (Kolkata Yellow Taxis) রয়েছে ১২ হাজারটি। যার মধ্যে থেকে কোভিড ও লকডাউনের পর থেকে রোজ গড়ে ৫ হাজার ট্যাক্সি চলে রাস্তায়। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার ট্যাক্সি এবার বাতিলের পথে। ফলে যাত্রী চাহিদার চাপ সামলানো এবার অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে ধারণা। এছাড়াও ট্যাক্সি বসে গেলে একাধিক মানুষের মুখে দুমুঠো খাদ্যের অভাবে পথে বসবেন অনেকেই।
তাই এই বিষয়টির গুরুত্ব যাচাই করে অন্য মডেলের গাড়িকে শহরের ট্যাক্সি (Kolkata Yellow Taxis) হিসেবে আনতে চাইছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। AITTUC অনুমোদিত ট্যাক্সি শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনের এক নেতা জানান পরিবহণ মন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে হলুদ ট্যাক্সি বাতিল হলেও চালকদের পারমিট বাতিল করা হবেনা।
আরো পড়ুন: বাড়ানো হোক কলকাতা বাসের আয়ু, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নতুন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
আর যেহেতু একই মডেলের দ্বিতীয় কোনো গাড়ি আর হিন্দ মোটর তৈরি করছেনা। বাইরে কোনো সংস্থার থেকে কেনা অসম্ভব কারন মডেল বারবার বানানো সম্ভব না। তবে মুম্বইতে এই বিষয়ের সুরাহা হয়েছে। জানা যায় ফিয়াট কোম্পানির প্রিমিয়াম পদ্দিনী গাড়ি দিয়ে শুরু হয় মুম্বাইয়ের ট্যাক্সি পরিষেবা। তবে সময়ের স্রোতে এখন এই রাস্তা দিয়েই আলাদা ধরনের শয়ে শয়ে উন্নত গাড়ির ভিড় দেখা যাবে বাড়িতে।
এই নতুন প্রস্তাবে ট্যাক্সি মালিকের সংগঠন বেঙ্গল ট্যাক্সি এসোসিয়েশন এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন। আর এর উপরে নির্ভর করে গতবছর যাত্রী সাথী অ্যাপের শুভ উদ্ভোধন করেছিল। সেই শতাব্দী প্রাচীন যাত্রী পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে খুব চিন্তিত রয়েছে প্রশাসন।