MountainGiri Subarna: বুলেট চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষিকা, নয়া সেনসেশন নেটপাড়ায়

MountainGiri Subarna: ভারতীয় বাইকের বাজারে বুলেটের গুরুত্ব এখনও এক ফোঁটাও কমেনি। একই রকম ভাবে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে। আর সেই বাইক নিয়েই বিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষিকা। এদিন এই প্রসঙ্গই উঠে আসে নলবাড়ি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মুখে। শিক্ষিকাকে সবাই ডাকেন বুলেট দিদিমনি নামে। গত কয়েক মাস ধরেই বুলেটের আওয়াজ ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য খুব চেনা হয়ে গেছে। দূর থেকে শব্দ শুনেই ভিড় জমায় পড়ুয়ারা। তাদের প্রিয় শিক্ষিকা আসছেন বুলেট বাইক চড়ে। ফলে পড়ে যায় হিড়িক।

বিদ্যালয়ে এসে দিদিমনি সুবর্ণা মজুমদার হাসিমুখে বাইক রেখে পড়ুয়াদের সাথে ক্লাসরুমের দিকে যান। এটাই ওই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ঘটনা। ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর থেকে বুলেট চালিয়ে স্কুলে পড়াতে আসেন দিদিমনি। পোশাকি নাম সুবর্ণা তবে সমাজমধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন মাউন্টেন গার্ল (MountainGiri Subarna) নামেই।

এই প্রসঙ্গে চব্বিশ বছর বয়সী সুবর্ণা বলেন সমাজ মাধ্যমে ওই নামে খোলা রয়েছে একাউন্ট। আর ওই নামেই ইউটিউবে চার লক্ষ, ফেসবুকে রয়েছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ইন্সটাগ্রামে ৬০ হাজার ফলোয়ারস রয়েছে। সচ্ছল পরিবারের ছকভাঙ্গা প্রকৃতির মেয়ে তিনি। লেখাপড়া ছাড়াও নাচ, গান, ছবি আঁকায় উৎসাহ বরাবরের। বিএসসি পড়ে ২০১৭ সালে পাশ করেন ডিএলএড। এরপর ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর দিনাজপুর নলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। তারপরেই প্রথম দিন থেকেই বিদ্যালয়ে আসেন বুলেট চেপে।

আরো পড়ুন: জীবন প্রদ্বীপ নিভে গেলো বিবেকের, অমর ভালবাসার সাক্ষী থাকলো গোটা বিশ্ব

এদিন বুলেট দিদিমণির (MountainGiri Subarna) প্রশংসা করেন নলবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃগাঙ্ক কুমার দাস মহাশয়। তিনি বলেন নতুন দিদিমনি ছাত্র-ছাত্রীদের খুব পছন্দের মানুষ। পড়ুয়াদের সাথে বন্ধুর মতো মিশতে পারেন সুবর্ণা দিদিমনি। লেখাপড়ার পাশাপাশি নাচ, গান, আঁকা সব কিছুতেই উৎসাহ দেন পড়ুয়াদের। স্কুলটাকেও সাজিয়েছেন মনের মত করে।

এই প্রসঙ্গে সুবর্ণা (MountainGiri Subarna) কে প্রশ্ন করা হলে জানান চটি বেলাতেই শিখেছেন বাইক চালানো। তবে তাঁকে বুলেট বাইক চালাতে দেখে আড়ালে আবডালে অনেকেই অনেক কথা বলেন। তবে তাতে তিনি কিছু মনে করেননা। জীবন একটাই তাই বাঁচলে নিজের শর্তেই বাঁচবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই শিক্ষিকা। তিনি আনন্দ করেই বাঁচতে চান। তাই তিনি একটা কথা সবসময় মনে রাখেন যে তিনি কারো ক্ষতি করে কিছু করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *