Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রো সাম্প্রতিককালে একটি নতুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কিছুদিন আগেই দেখা যাচ্ছিল যে কলকাতা মেট্রো চালক সমস্যায় ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে মেট্রোতে চালক নিয়োগ হয়নি যে কারণে ছুটি ছাড়া বাড়তি চাপ নিয়ে মেট্রোর চালকদের কাজ করতে হয়। যে কারণে অধিকাংশ মেট্রোর চালকরা রীতিমতো মানসিক চাপে ভুগছেন। এছাড়া মেট্রো কর্মী ইউনিয়নের একাংশ এই বিষয়ের জন্য প্রতিবাদ করেছেন। তারা অনশনের পথে হাঁটতে পারেন বলেও খবর ছিল।
সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ আরও একটি নতুন সমস্যায় ভুগছেন। একটি মারাত্মক অভিযোগ উঠছে ক্রমশ। হ্যাঁ কলকাতা মেট্রোতে টোকেন চুরি যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, টোকেন চুরি হওয়ার ফলে মেট্রোর রাজকোষে টান পড়ছে। যে কারণে ইতিমধ্যেই বিকল্প উপায় ভাবছেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা।
সাম্প্রতিক কালের অভিযোগ অনুযায়ী চুরি যাওয়ার ফলে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro)। বর্তমানে কলকাতা মেট্রো ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। নন এসি রেক সরিয়ে কলকাতা মেট্রোতে এসেছে পূর্ণ বাতানুকূল রেক। এমনকি কলকাতা মেট্রোতে নতুন নতুন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। পুরো কলকাতা জুড়েই মেট্রো রেলের লাইন বসছে আর যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থাপনা।
আরো পড়ুন: কলকাতা মেট্রোতে বেনজির সংকট, সমস্যা বাড়ছে উত্তরোত্তর
এতকিছুর পরেও মেট্রো রেলের আধিকারিকদের জীবন থেকে চিন্তা কমছে না। কিছু যাত্রীদের কারণে তাদের কপালে পড়েছে এই চিন্তার ভাঁজ। হ্যাঁ একটি খবর অনুযায়ী কলকাতা মেট্রোতে (Kolkata Metro) গত ১৪ বছরে প্রায় ৫৩ লক্ষের বেশি টোকেন তৈরি হয়েছে, কিন্তু এই টোকেনের মধ্যে একটি বিরাট সংখ্যক অংশের টোকেন আর পাওয়া যাচ্ছে না। ৩১ লক্ষ টোকেন চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বলাই বাহুল্য এই টোকেন তৈরি করতে রীতিমতো একটা মোটা টাকা খরচ হয়।
কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) একটি টোকেন তৈরি করতেই প্রায় ৪৫ টাকার খরচ হয়। তাহলে ৩৫ লক্ষ টোকেনের ক্ষেত্রে কত টাকা লোকসান হতে পারে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। টোকেনের বদলে ইতিমধ্যে কাগজের টিকিট দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটে। এই কাগজের টিকিটের ওপরই থাকছে কিউ আর কোড। মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক গেটে প্রবেশ করার আগে কিউআর কোড যুক্ত অংশ ঠেকাতে হবে আর মেট্রো থেকে বেরনোর সময় দরজার একটি বিশেষ অংশ ধরতে হবে টিকিটের সেই দিকটা। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে কারণ তারা বুঝতে পারছেন না কিভাবে টোকেনের বদলে এই কাগজের টিকিট ব্যবহার করবেন আবার পাতাল রেলের কর্মীরাও বুঝতে পারছেন না এত লক্ষ লক্ষ টোকেন কীভাবে চুরি গেল?