Micromancing: সকলের মাঝেই একটা ধারণা রয়েছে যে ভালবাসা প্রকাশ করতে সবসময় প্রয়োজন হয় দামী উপহারের। তবে নিজেদের ব্যবহারের পরিবর্তন আনলে সম্পর্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সম্প্রতি একটি অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে ভারতীয় যুবকদের উপর একটি সমীক্ষার মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি উপায়ে সম্পর্কের স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি করা যায়।
একে অপরের বিশ্রামের জায়গা হয়ে ওঠা:
আজকাল মানুষ আরও ব্যবহারিক হয়ে উঠছে ফলে আবেগের পরিবর্তে বাস্তব বুঝতে চাইছে কপোত-কপোতীরাও। আর এই জন্যই সম্পর্কে একে অপরের প্রতি ছোট ছোট কাজের গুরুত্ব বাড়ছে। দামী গিফ্ট বা এলাহী কিছু ছাড়া সারাদিন পর এক অপরের যত্ন নিয়েও সম্পর্কের দীর্ঘায়ু হয়।
ছোট কিছুর বড় প্রভাব:
মাইক্রো-রোমান্সের (Micromancing) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ভালবাসার প্রকাশে বিরাট কিছু না করে ছোট ছোট অর্থপূর্ণ জিনিসগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেক সময় লং ড্রাইভে যাওয়ার চেয়েও দুজনের একসাথে বিকালের ভ্রমণ বা মর্নিং ওয়াক করা বেশি উপকারী।
ভান ছেড়ে আবেগে জোর:
নতুন এই মাইক্রো রোম্যানসিং (Micromancing) কনসেপ্টে জমকালো পার্টি বা উপহার ছেড়ে ভালবাসায় ভরা গোলাপে বেশি প্রভাব ফেলছে বলে জানা যাচ্ছে। এতে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ভিত আরও গাঢ় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত তালিবানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, কীভাবে সম্ভব হল
সঙ্গীর গুণগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া:
বিশেষজ্ঞদের মতে সঙ্গীর গুণাবলীর উপর নজর দেওয়াকে সম্পর্কে ভালবাসা এর বোঝাপড়ার পাঠ আরোও গভীর করে তোলে। বিশেষ করে একে অপরের গুণাবলীকে বাহবা দিলে দুজনের নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব বারে।
ভুল শুধরে নেওয়া:
এতদিন কোনো ভুল হলে দামী উপহার দিয়ে বা বড় কোনো রেস্তোরাঁয় ডিনার সেরে মান ভাঙ্গানো হতো। সেখানে এই মাইক্রো রোম্যানসিং (Micromancing) বিশেষজ্ঞরা জানান যে কোনো ক্ষেত্রে ভুল হলে সরাসরি ক্ষমা প্রার্থনা করা যেতে পারে বা সামান্য চকলেট দিয়ে সময় কাটানো বেশি উপকারী।
সম্পর্ক আরো ভালো করতে রইলো তিনটি উপায়:
- সম্পর্ক যতই পুরানো হোক ভালবাসার মানুষের থেকে সারপ্রাইজ পেতে সকলেই ভালবাসেন। তাই ছোট হোক বা বড় সাইপ্রাইজ পেলে মন খুশি হবেই।
- একে অপরের পরিশ্রমকে গুরুত্ব দেওয়া মাইক্রো রোমান্সের (Micromancing) একটা গুরুত্বপুর্ণ দিক। সারাদিনের পরিশ্রমের পর ভালবাসার মানুষের সহানুভূতি খুবই শান্তি দেয়।
- সম্পর্কের গুরুত্বপুর্ণ তারিখগুলো মনে রাখা এবং তার উদযাপনে আগ্রহ দেখানো জীবন সঙ্গীকে মানসিক আনন্দ দেয় যা সম্পর্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি ভালো করে।