গ্রাহকদের জন্য স্বস্তির খবর, ব্যাংক জালিয়াতি ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ নিল আরবিআই

ডিজিটাল লেনদেন বাড়ার সাথে সাথে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর ফলে গ্রাহকদের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলিও একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তাই প্রতারণা ঠেকাতে, গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অভিনব উদ্যোগ নিল রিজার্ভ ব্যাংক। অনেক সময় দেখা যায়, আপনি হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত আছেন, সেই সময় হঠাৎ ফোন। ব্যাংকের প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে কখনো ব্যাংকের কেওয়াইসি আপডেট বা কখনো ঋণ আদায়ের দাবি করা হয়। এর ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়ে আমজনতাদের কপালে।

অনেকে আবার ঘাবড়েও যান। এর ফলে প্রতারণা শিকার হয় বহু মানুষ। এই ঘটনার বারবাড়ন্ত দেখেই এহেন ব্যবস্থা গ্রহণ রিজার্ভ ব্যাংকের। এই ব্যাংক জালিয়াতি রুখতেই আরবিআই-র পক্ষ থেকে দুটি ফোন নাম্বার চালু করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে লেনদেন বা ট্রানজেকশন সম্পর্কিত কোনো কল এলে তার নাম্বারের শুরুতে ১৬০০ থাকবে। আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত কোনো কল এলেও তা ১৬০০ দিয়েই শুরু হবে।

অপরদিকে, ব্যাংকিং পরিষেবা যেমন- ব্যক্তিগত লোন, ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত কোনো কল বা এসএমএস এলে তার শুরুতে ১৪০ থাকবে। এই বছরের ১ই এপ্রিল থেকে নেট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে আরবিআই। আরবিআই এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, আরটিজিসি এবং এনইএফটি-র মাধ্যমে কাউকে টাকা পাঠানোর আগে ওই ব্যক্তির ব্যাংকে প্রতিবদ্ধ নাম প্রেরক দেখতে পারবেন, যেই সুবিধাটি এখন আমরা ফোন পে বা গুগল পে-তে দেখে থাকি।

আরও পড়ুন: বছরে মিলবে মোটা সুদ, বয়স্কদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করলো এই ব্যাংক

মূলতঃ অনলাইন ও ফোন জালিয়াতির কথা মাথায় রেখেই নেট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে চলেছে আরবিআই। আরবিআইয়ের এই পদক্ষেপ মোবাইল ব্যবহারকারীদের ব্যাংক জালিয়াতি থেকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফ্রড ও স্প্যাম কল দ্বারা ব্যাংক জালিয়াতি থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে নির্দিষ্ট এই ফোন নাম্বার চালুর উদ্যোগ নিল রিজার্ভ ব্যাংক। মূলতঃ ফোন জালিয়াতি ঠেকানোই এর মূল উদ্দেশ্য।

কল রিসিভ করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে আরবিআই। আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বার থেকে ফোন এলে তা নিয়ে গ্রাহকদের বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই। কল রিসিভ করার পর কেউ যদি ব্যাংক সংক্রান্ত কোন সন্দেহজনক তথ্য জানতে চায়, তবে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যেতে হবে ব্যবহারকারীদের। ওটিপি বা ব্যাংকিং সংক্রান্ত কোনো তথ্যই কোনভাবে শেয়ার করা যাবে না অপরিচিত কারোর সাথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *