জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য দারুন সুখবর, এখন থেকে আর টিকিট লাগবে না এই জাতীয় উদ্যানগুলিতে

শীতের মরশুমে আমরা প্রায় সকলেই ঘুরতে যেতে ভালোবাসি। পাহাড় থেকে জঙ্গল ঘোরার আদর্শ সময় হল এই শীতকাল। শীতের মরশুমে জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য থাকছে দারুন সুখবর। এবার থেকে রাজ্যের জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্যে ঢুকতে গেলে আর কোনো টিকিট লাগবে না। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে মানতে হবে বেশ কিছু শর্তাবলী।

পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্যের জাতীয় উদ্যানগুলিতে প্রবেশ করার জন্য পর্যটকদের কোনো টিকিট কাটতে হবে না। পর্যটন পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এই শিল্প বাঁচানোর তাগিদেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছর এই দফতরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে পর্যটন শিল্পের উন্নতিসাধন ঘটবে বলে মনে করছেন তিনি।

এতদিন ধরে এত টাকা দিয়ে পর্যটকদের পক্ষে জঙ্গল ভ্রমণ সমস্যা তৈরি করছিল। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক, সুমন কাঞ্জিলাল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দেন বনবিভাগকে। এখন থেকে এই জাতীয় উদ্যানগুলিতে আর কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না।

আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপালপুর, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের অপূর্ব মেলবন্ধন

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে, ২৪শে জানুয়ারি শুক্রবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন জাতীয় উদ্যানগুলিতে প্রবেশ মূল্য লাগবেনা। আপনি যদি উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া, গরুমারা, জলদাপাড়া চাপড়ামারি উদ্যানে বেড়াতে যান, তাহলে আপনাকে এখন থেকে আর টিকিট কাটতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি পর্যটকেরা। তবে সেক্ষেত্রে জিপসি গাড়ি ও গাইড নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করতে হবে পর্যটকদের। যারা আগে আসবেন তারাই প্রবেশ করতে পারবেন। আগের নিয়ম অনুসারে ওয়াচ টাওয়ারে যতজন যাওয়ার অনুমতি পেতেন ততজনই যেতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। লাটাগুড়ি রিজার্ভ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানিয়েছেন, জিপসি গাড়ি করে উদ্যান ঘোরার জন্য 480 টাকা করে রোড ট্যাক্স দিতে হতো। ট্যাক্স মুকুবের জন্য তারা বহুবার এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। তার মতে, টিকিট মূল্য না নেওয়ার ফলে আর্থ-সামাজিক দিক যেন ভেঙে না পড়ে। যেসব গ্রামীণ মানুষেরা এই ইকো-পর্যটনের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন তাদের জীবন জীবিকার উপর যাতে কোনো আঘাত না আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *