আজকাল সব বয়সী মানুষের মধ্যে বিয়ের প্রতি অনিহা এবং লিভ ইন সম্পর্কে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। এর সাথে এই সম্পর্ক জনিত সমস্যাও নেহাত কম নেই। এবার উত্তরাখণ্ডের নতুন যৌথ দেওয়ানিবিধি আইন কার্যকর হয়েছে। এর জন্য প্রকাশ পেয়েছে ১৬ পাতার দীর্ঘ নিয়মবিধি। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী চলুন দেখে নিই নতুন এই লিভ ইন নিয়মে কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে:
১. এবার থেকে লিভ ইন সম্পর্ক নথিভুক্ত করার জন্য লাগবে ৫০০ টাকা।
২. এবার থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় পুরোহিতের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
৩. অতীতের কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা সেই বিষয়েও একে অপরকে জানাতে হবে। বিবাহ বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে প্রমাণ জমা দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৪. সম্পর্কে অংশীদারদের সম্পর্কের কথা জেলার রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে হবে। অন্যথায় হতে পারে ৬ মাসের জেল হেফাজত।
৫. অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ভাবেই করা যাবে আবেদন।
৬. আঁধার নম্বর ব্যবহার করে নাম লেখাতে হবে।
৭. যুগলদের বসবাসের প্রমাণপত্র জমা করতে হবে।
৮. যুগলের যেকোনো একজনের বয়স ২১ বছর বা তার কম হলে এই সম্পর্কের কথা তাঁর পিতামাতাকে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মুম্বাইতে সেটেল করার কথা ভাবছেন, মাসিক খরচ কত হতে পারে জানা আছে?
৯. লিভ ইন সম্পর্কে থাকা দুই ব্যক্তির ধর্ম অনুযায়ী তাদের ধর্মীয় গুরুর পরামর্শে তবেই সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
১০. এছাড়াও ৭৪টি সম্পর্ক উল্লেখ করে দেওয়া রয়েছে, যেই সম্পর্কের কারো সাথে লিভ ইন সম্পর্কে থাকা বেআইনি বলে ধরা হবে।
১১. রেজিস্ট্রেশন করাতে ইচ্ছাকৃত দেরি করলে ওই যুগলকে সর্বাধিক ১০ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হতে পারে।
১২. লিভ ইন সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রেও দিতে হবে ৫০০ টাকা।
১৩. লিভ ইন সম্পর্কের যুগলদের বাচ্চা থাকলে বা দত্তক নিলে তাদের জন্ম বৃত্তান্ত জমা দিতে হবে।
১৪. রেজিস্ট্রেশন ছাড়া লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে দিলে বাড়ির মালিককে সর্বাধিক ২০ হাজার টাকা জরিমানা কাটা হতে পারে।
১৫. ধর্মগুরুর নাম, মোবাইল নম্বর এবং বাসস্থানের প্রমাণ জমা করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের সময়।
১৬. এক্ষেত্রে কোনো মহিলার সঙ্গী ছেড়ে গেলে তিনি খোরপোষ চাইতে পারবেন।
১৭. এক্ষেত্রে লিভ ইন সম্পর্কে জন্ম নেওয়া সন্তানকে বৈধ ধরা হবে।
১৮. আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যেই রেজিষ্টার আবেদনের অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন। বাতিল হলে অ্যাপিল করার সুযোগ থাকবে।