সরস্বতী পুজোর মরশুমে খাঁ খাঁ করছে দিঘা সমুদ্র সৈকত, চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই সৈকত শহর শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে নয়, প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন সাজে পর্যটকদের মন জয় করছে। পর্যটকদের কাছে-পিঠে ডেস্টিনেশন হিসাবে দিঘা হল অন্যতম। এর জুড়ি মেলা ভার। সারা সপ্তাহের কাজের স্ট্রেস কমাতে দিঘা সমুদ্র সৈকতে ভিড় করে বাঙালি পর্যটকেরা। 

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা প্রায় সব ঋতুতেই প্রতিটি উইকেন্ডে দিঘায় পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শীতের মরশুমে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হলে দিঘায় ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এবার সেই রীতির ব্যতিক্রম ঘটল। রাজ্যের অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা এখন হতাশ। এই মরশুমে দিঘায় যে ভিড় লক্ষ্য করা যায় তার সিকিআনাও চোখে পড়ছে না।

দিঘার বর্তমান ব্র্যন্ড ভ্যালু বিশ্বমানের। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করে দিঘায় তৈরি হয়েছিল চৈতন্যদার। দিঘার প্রবেশদ্বারের মতো করে এই চৈতন্যদার তৈরি করা হচ্ছে। জগন্নাথ দেবের পুরানো মন্দির লাগোয়া প্রবেশ পথের মুখে এই চৈতন্যদার তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ মন্দিরের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী অক্ষয় তৃতীয়াতেই মন্দিরটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে বারবার পর্যটক হারানোর জন্য দুশ্চিন্তা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্যান্য বারের তুলনায় প্রচুর পর্যটক কমেছে এইবার।

আরও পড়ুন: কলকাতার ড্রেনেজ সিস্টেমে আসতে চলেছে নতুন প্রযুক্তি, পুনরায় ব্যবহার করা যাবে দূষিত জল

সারা বছরই বাঙালি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় করছে দিঘায়। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার দিঘার পর্যটক সংখ্যা অনেকাংশই কমেছে। এই মরশুমে দিঘা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সংখ্যা কম কেন কারণ জানতে চাওয়া হলে দীঘা শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জানান, সব পর্যটকেরা মহাকুম্ভ মেলায় যাচ্ছে। ফলে হোটেল বুকিং কমছে। শুধুমাত্র হোটেল ব্যবসায়ীরা নয় অন্যান্য ব্যবসাও বেশ লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর এসময় দিঘায় ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। তবে এবছর হোটেল ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন।

দিঘা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শীতের বিদায়ে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এই মরশুমে দিঘায় ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতই। প্রতি বছর এই সময়ে দিঘায় পর্যটকদের ভিড় জমে ওঠে। কিন্তু এই বছর সেই ভিড় একেবারেই চোখে পড়ছে না। দিঘা সমুদ্র সৈকতের এক চা বিক্রেতা সুমিত সাউ বলেন যে তার প্রতিদিন ওল্ড দিঘা এলাকায় সকালে ২৫০ থেকে ৩০০ কাপ চা বিক্রি হতো। কিন্ত এখন পর্যটক কম থাকায় সেই সংখ্যা কমে একে বারে দুই সংখ্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। কী ভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চা ব্যবসায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *