বর্তমানে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান এবং শিয়ালদহ থেকে বিধাননগর পর্যন্ত চলাচল করে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে শিয়ালদা ও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মধ্য দিয়ে মেট্রো চালানো হবে। যাতে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রীরা বিধাননগর থেকে হাওড়া-ময়দান পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে। এতে করে যাত্রীদের টাকা ও শ্রম দুই বাঁচবে।
এই দুই পৃথক মেট্রো লাইন জুড়তে কয়েক দিন ধাপে ধাপে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বইমেলা শেষ হলেই এই সিগন্যাল আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হবে। এর পাশাপাশি হবে কমিউনিকেশন বেসড সিগন্যালিং সিস্টেমের কাজ। এই কারণেই ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধ থাকছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। ফলে বিপাকে পড়তে পারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই সময়ে সম্পূর্ণ গ্রিন লাইনে অর্থাৎ হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ‘কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল’ (সিবিটিসি) সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই লাইন চালু হলে মেট্রোয় করে হাওড়া ময়দান থেকে মাত্র আধ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে সল্টলেক সেক্টর–ফাইভে। ফলে উপকৃত হতে চলেছেন বহু মানুষ। এই মেট্রো লাইনের পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য মোট আটদিন গ্রিন লাইনে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য দারুন সুখবর, এখন থেকে আর টিকিট লাগবে না এই জাতীয় উদ্যানগুলিতে
তাই ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ধাপে বন্ধ থাকছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা। ফেব্রুয়ারি মাসে মোট আট দিন পরিষেবা বন্ধ রাখার পর কাজের জন্য আরও অতিরিক্ত চার সপ্তাহ মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বন্ধ থাকছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা। তবে মার্চ মাসে টানা একমাস বন্ধ থাকতে পারে মেট্রো। ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ই ফেব্রুয়ারি চার দিন এবং ২০ই থেকে ২৩ই ফেব্রুয়ারি আরও ৪ দিন বন্ধ থাকবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইনে পরিষেবা। এর মধ্যে ১৫ এবং ১৬ তারিখ ও ২২ এবং ২৩ তারিখ যথাক্রমে শনি ও রবিবার পড়ছে।
কেএমসিআরএলের তরফ থেকে প্রথমে জানানো হয়েছিল, ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩শে মার্চ টানা দেড় মাস বন্ধ থাকবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ মেট্রো পরিষেবা। কিন্তু যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে টানা দেড় মাস মেট্রো বন্ধ রাখছে না কর্তৃপক্ষ।