এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল কম্পিউটার সাইন্সের একটি ভাগ, যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা শেখার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমস্যা সমাধানের মতো গুণাবলীকে কম্পিউটার অনুকরণ করার চেষ্টা করে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন এবং আমেরিকা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। তবে ভারতও এই ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। ভারতের তরফ থেকেও এআইয়ের ব্যাপারে নানা রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশ্বের একাধিক দেশেই এখন চলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ। ভারতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে নানারকম অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ ভয় রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। তাই এই ভয় দূর করতেই এবার তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছর বাজেটে ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল মোদী সরকার। চলতি বছরেও দেশের প্রাণকেন্দ্র ও বড় বড় শহরগুলি এআই হাব তৈরির জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থমন্ত্রক।
তবে এবার এআই নিয়ে এক অন্যতম উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কি সেই উদ্যোগ? আসুন জেনে নেওয়া যাক। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার মানুষের মন থেকে এই এআইয়ের ব্যাপারে ভয় কাটাতে বুনিয়াদি শিক্ষাতেই যাতে এই নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ যাতে করা যায় তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুত্রের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহেই ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মূলতঃ প্যারিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরো নতুনভাবে কি করে ব্যবহার করা যেতে পারে তা জানতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক, কোন কোন দিন হতে পারে ব্যাংক ধর্মঘট?
বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শুধুমাত্র শহরের পড়ুয়ারা নয় ভারতের প্রান্তিক নাগরিকদের কাছেও যাতে এআইয়ের এই সুবিধাগুলি পৌঁছে যায় তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়াও স্বাস্থ্যক্ষেত্র, কৃষিক্ষেত্রে যাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য চলতি বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, চ্যাট জিপিটি বা ডিপসিকের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাট-বট তৈরি করছে ভারত। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়তো ভারতের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাট-বট তৈরি করে ফেলবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাছাড়াও ভারতের বেশিরভাগ পড়ুয়ারা থাকেন মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায়। সেই কারণে দেশের একদম প্রান্তিক নাগরিকদের কাছে এআই-কে পৌঁছে দিতে তথ্য পরীক্ষাগার বা এআই ল্যাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র সরকার।