সংগঠনের বড় সিদ্ধান্তে শহরে পাওয়া যাবে না অ্যাপ ক্যাব বা বাইক

বর্তমানে কলকাতার রাস্তায় প্রায়ই চোখে পড়ে অ্যাপ ক্যাব কিংবা বাইক। শহরের যেকোন প্রান্তে নিমেষে পৌঁছে যাওয়ার জন্য এটি হলো মানুষের অন্যতম ভরসা। এমনকি অফিসে যেতে অনেকেই আজকাল ভরসা করে অ্যাপ ক্যাব অথবা বাইকের উপর। আপনি যদি গন্তব্য স্থলে তাড়াতাড়ি পৌঁছতে চান তাহলে অ্যাপ থেকে বুক করতে হবে ক্যাব কিংবা বাইক। যারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন যাতায়াতের জন্য তাদের জন্য কিন্তু দুঃখের খবর। আজকের প্রতিবেদনে জানুন বিস্তারিত খবর সম্পর্কে।

বৃহস্পতিবার কিন্তু শহরের পথে দেখা যায়নি কোন অ্যাপ ক্যাব অথবা বাইক। এর আসল কারণ জানেন কি আপনি? কারণ, অ্যাপ ক্যাব ও বাইক ট্যাক্সি ইউনিয়ন অবশেষে নিয়েছে বড় সিদ্ধান্ত। ১২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এই ইউনিয়ন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না বলেই ধর্মঘটের পথ অবলম্বন করেছেন তারা।

সূত্র মারফত জানা গেছে যে দীর্ঘদিন ধরে কোনরকম ভাড়া বাড়ানো হয়নি তাদের। অনেকদিন ধরেই অ্যাপ ক্যাব সংগঠন দাবি জানাচ্ছিল অন্তত নূন্যতম ভাড়া বাড়ানো হোক। শুধু এইখানেই শেষ নয় অনেকেই হলুদ নম্বর প্লেট পায়নি। অনেকেই আছেন যারা লোন নিয়ে গাড়ি নিয়েছেন। তাদের জন্য পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক। তারা কোনোভাবেই ব্যবসায়িকভাবে গাড়ি খাটাতে পারছে না। তারা যাতে সেই কাজ দ্রুত করতে পারে এমনটাই দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বন্ধের পথে বর্ধমান স্কুল, নেপথ্যে কারণ কি শিক্ষক শিক্ষিকা নাকি ছাত্র-ছাত্রীর অভাব?

অ্যাপ ক্যাব সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা থেকে ধর্মঘট ডাকবে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার শহরের রাস্তায় দেখা যায়নি, কোন ক্যাব ট্যাক্সি কিংবা বাইক। যার ফলে নিত্যযাত্রীদের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। মূলত, বামপন্থী অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের ধর্মঘটের ডাকে সকাল থেকেই কিন্তু অ্যাপ ক্যাব ও বাইকের সংখ্যা রাস্তায় খুবই কম। এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীকে। তাদের দাবি না মানার জন্যই এই পথ তারা বেছে নিয়েছে।

একটি সাক্ষাৎকারে আইসিআইটিইউ-র সহ সম্পাদক বলেন, পরিবহন মন্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে তারা নিজেদের দাবি জানিয়েছেন। আশ্বস্ত করলেও কোন লাভ হয়নি। অনেক দিন ধরে ওলা-উবের-ইনড্রাইভকে বলেছি তাদের কোন ধরনের বিমা নেই এবং নেই সামাজিক সুরক্ষা। যদি কোন কারনে চালকের মৃত্যু হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দশ লক্ষ টাকাও পাওয়া যায় না। তেলের দাম বাড়লেও ভাড়া বাড়েনি। সেই কারণেই এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *