Lottery: ভাগ্য সহায় হলে মানুষের দ্বারা কিনা হয়? তেমনভাবেই রাতারাতি ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা, ৩০ টাকার টিকিটেই কোটিপতি হলেন এই ভুটভুটি চালক। এক্ষেত্রে শুধু ভাগ্য সহায় এই কথাটি হয়তো বলা যায় না, কারণ ভাগ্যের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত চেষ্টা জড়িয়ে আছে , হ্যাঁ ১৯ বছর ধরে করা চেষ্টার ফল হাতে নাতে পেলেন তিনি। ১৯ বছর ধরে লটারির টিকিট কাটলেও কখনও পুরস্কার পান নি। তবে চেষ্টা ছাড়েন নি তিনি।
অবশেষে ভাগ্য দেবী সহায় হলেন ভুটভুটি চালক হলেন কোটিপতি। জীবনে যতবার টিকিট কেটে বিফল হয়েছেন ততবার বিফলতাকে দূরে সরিয়ে সফলতার স্বাদ আস্বাদন করবার জন্য বারংবার লটারি টিকিট (Lottery) কেটে গেছে, কখনো ভেঙে পড়েন নি। কখনো ভাবেন নি তার দ্বারা আর হবেনা। দীর্ঘ বছর ধরে তার ক্রমাগত চেষ্টা করার পর অবশেষে পেলেন ঐ ব্যক্তি।
সোমবারের লটারি টিকিটে (Lottery) ভুটভুটি চালক থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠার কথা তিনি নিজেও ঘুণাক্ষরেও ভাবেন নি। কারণ ১৯ বছর ধরে লটারি টিকিট কাটার পর তিনি শুধু বিফল হয়েছেন। কখনও একটা ভালো পুরস্কার অবধি পাননি লটারি কেটে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার অন্তর্গত ওই ব্যক্তি সিজ গ্রামের বাসিন্দা। ওয়াদ আলী শেখ সোমবার সন্ধ্যাবেলায় ৩০ টাকার একটি লটারির টিকিট কেনেন। সেই খেলার রেজাল্ট বের হতেই তার প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানা যায়।
আরো পড়ুন: চিতায় পুড়ছে মৃতদেহ তার পাশেই উদ্যম নাচ আত্মীয় পরিজনদের
ওয়াদ আলী শেখ প্রথম দিকে লেবারের কাজ করতেন। এখন তিনি লাদেন গাড়ি চালান। এর থেকে যা রোজগার হয় তাতেই তার সংসার চলে। ওয়াদ আলী শেখের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। তবে তার একটি ছেলে অনেক আগে মারা গিয়েছে। আরেকটি ছেলে ফেরি করে, মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে দুই কামরার ঘর ছাড়া আর কিছু নেই। কোটিপতি হওয়ার পর এইবার মানুষটির জীবনের অপূর্ণ স্বপ্নগুলোর পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখছেন।
ওই ব্যক্তি নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, তার নিজের কোনও জমি নেই। তাই তিনি জমি কিনতে চান ও নিজের বাড়িকে রং করে আরও সুন্দর করে সাজাতে চান। এছাড়া ছেলেমেয়েদের হাতে অর্থ দিয়ে তাদেরকেও রোজগেরে করতে চান। তার এই লটারি (Lottery) জেতায় টিকিট বিক্রেতাও বেশ খুশি। কেননা তার বিক্রিত লটারির টিকিটে ১ কোটি টাকা এসেছে, তিনিও তাই মোটা টাকা কমিশন পাবেন।