HMPV Virus: করোনার পর মানুষ যখন কয়েক বছর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, সেই মুহূর্তে ভারতে আছড়ে পড়ল হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যে ভিডিও দেখার পর আতঙ্কে ভুগছেন বিশ্বের মানুষ। কারণ এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে চিনের হাসপাতালে কোভিডের মত ভিড় উপচে পড়েছে! হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ ছুটছেন হাসপাতালে। চিন থেকে এই ভাইরাস এবার প্রবেশ করলে ভারতে! হ্যাঁ হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণের ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে ভারতে।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে এমন দুটি কেস এসেছে, যারা হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (HMPV Virus) সংক্রমিত। ইতিমধ্যে এই দুটি কেস শনাক্ত হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে রাজ্য তথা দেশের স্বাস্থ্য দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ কী ভাবছে জানেন? সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কর্ণাটকে এই কেস ধরা পড়ায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরও সতর্ক হয়ে গেছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন।
পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, সেদিকে নজর রাখছে রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্তারাও। যদি এখনই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে চিন্তার কোন কারণ নেই , তবে ঢিল দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে দুই শিশুর শরীরে পাওয়া গেছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (HMPV Virus)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীত ও বসন্তকালে আমেরিকায় হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের পাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতই উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় এক্ষেত্রে। তবে কোভিড ১৯ এর মত এই সংক্রমণের উপসর্গ গুলোও কখনো কখনো মারাত্মক হয়ে ওঠে বলে জানা যাচ্ছে সেই রিপোর্টে।
আরো পড়ুন: এক ধাক্কায় ২০ টাকা কমতে চলেছে পেট্রোলের দাম, কবে থেকে জারি নতুন দাম
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (HMPV Virus) মোকাবিলার জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের জন্য কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয় নি। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসকে নিয়ে রীতিমতো তাই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কারণ জানা যাচ্ছে যে কোভিডের সঙ্গে এই ভাইরাসের অনেক মিল। সামান্য হাঁচি কাশির মাধ্যমে এটি সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এমনকি হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (HMPV Virus) আক্রান্ত রোগীর ব্যবহার করা জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ করতে পারে। এই সংক্রমনের ফলে শিশু এবং বৃদ্ধরা অধিক মাত্রায় অসুস্থ হচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে এবং কোভিডের মত জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ছাড়াও এই ভাইরাসের ফলে শরীরে দুর্বলতার দেখা দিতে পারে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মত অনুযায়ী, এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া , হাঁপানির মত নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের আকার ধারণ করতে পারে। তবে এই সংক্রমণের ফলে অসুস্থতার তীব্রতা নির্ভর করে রোগীর উপর। যদিও সাধারণভাবে তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত এই সংক্রমণের প্রভাব থাকে।