Toll Tax: গাড়ি চালকদের জন্য সুখবর, দিতে হবে না টোল ট্যাক্স

Toll Tax: গাড়ি চালকদের জন্য সুখবর, দিতে হবে না টোল ট্যাক্স। বিশেষ কিছু গাড়ি চালকদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছে মোদি সরকার। ভারতীয় পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে সমস্ত গাড়ি গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে তাদেরকে আর কোন টোল ট্যাক্স দিতে হবে না। তবে যদি যাত্রা পথ ২০ কিলোমিটারের বেশি হয় সেক্ষেত্রে টোল ট্যাক্স দিতে হবে সম্পূর্ণ যাত্রাপথের উপর ভিত্তি করে।

জিএনএসএস হল এক ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি যা গাড়ির নেভিগেশন এবং ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তিটি অনেকটা জিপিএস এর মতনই কাজ করে। জিএনএসএস প্রযুক্তিকে বর্তমানে টোল ট্যাক্স এর সাথে যুক্ত করে ব্যবহার করা হচ্ছে ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি গাড়ির নির্দিষ্ট যাত্রা পথ এবং নির্দিষ্ট অবস্থান সনাক্ত করা যেতে পারে। যে সমস্ত গাড়ি এই জিএনএসএস পরিষেবা ব্যবহার করবে তাদের জন্য টোল ট্যাক্সের (Toll Tax) ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে।

আপাতত এই পরিষেবাটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হরিয়ানা এবং কর্নাটকের বেশ কিছু প্রধান সড়ক এবং এক্সপ্রেস ওয়েতে ব্যবহার করা হচ্ছে। জিএনএসএস পরিষেবার মাধ্যমে টোল ট্যাক্সের (Toll Tax) পরিমাণ নির্ধারণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পরিবহন দপ্তর। আপাতত কর্নাটকের ন্যাশনাল হাইওয়ে ২৭৫ এর ব্যাঙ্গালুরু ও মাইসোরের মধ্যে এবং হরিয়ানার ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭০৯ এর পানিপথ ও হিসারের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এই পরিষেবাটি। এই পরীক্ষা সফল হলে সারা দেশ জুড়ে একটু একটু করে চালু হবে জিএনএসএস ভিত্তিক টোল (Toll Tax) সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

আরো পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কাটলেই বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন এই পরিষেবাগুলি

টোল ট্যাক্স (Toll Tax) গ্রহণের পদ্ধতিতে আরো স্বচ্ছতা আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জিএনএসএস প্রযুক্তির মাধ্যমে চালকের অতিক্রান্ত সঠিক যাত্রাপথের নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। যার ফলে যাত্রা পথের উপর ভিত্তি করে টোল ট্যাক্স দিতে পারবে চালকরা। সব থেকে বেশি সুফল পাওয়া যাবে অল্প দূরত্বে যাত্রা করার ক্ষেত্রে। যদি কোন ব্যক্তি ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন টোল রোডে যাত্রা করে থাকেন তাহলে তাকে কোন অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স দিতে হবে না। যার ফলে যাত্রার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। যদি কোন গাড়ি ২০ কিলোমিটারের সীমা অতিক্রম করে তবে আসল যাত্রা পথের উপর নির্ভর করে টোল ট্যাক্স দিতে হবে।

সড়ক ও পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ি চালকরা উপকৃত হবেন তা নয়। পাশাপাশি টোল ট্যাক্স (Toll Tax) সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে অনেক স্বচ্ছতা আসবে এবং অনেক সহযও হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে মোদি সরকারের টোল ট্যাক্স সংগ্রহের এই পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থায়। এখন পুরো বিষয়টি আদতে কতটা কার্যকরী হবে তা নির্ভর করছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সফলতার উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *