Brics Conference: নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক জলঘোলা হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে গোপনে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছিলো মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সেরোসের বিরুদ্ধে। একচ্ছত্র জয় বিঘ্নিত হলেও শেষ মেষ জয়ী হয়ে ক্ষমতায় পুনর্বহাল হন মোদি। এবার আমেরিকার পক্ষে ভারতের উপর আনা হবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এমন সম্ভাবনার কথা জানা যাচ্ছে।
আমেরিকার বিশ্লেষকদের মতে ভারতের উন্নয়নকে থামানো না গেলে কিছু বছরেই চীনের থেকেও শক্তিশালী হবে ভারত। ভারতের এই দ্রুত উন্নয়ন ঘটতে থাকলে আগামী দশ বছরে আমেরিকাকে টপকে যাবে সাফল্য। তাই এই উন্নতির পথে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছে তারা। তবে ভারতের পরিস্থিতি ইতিমধ্যে কয়েকগুণ বেড়েছে। গোটা দেশের খাদ্যশস্যের আমদানি করতে হয়না। এছাড়া তেল আনার একাধিক উৎস রয়েছে ভারতের হাতে এবং ইতিমধ্যেই তেলের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ এগোচ্ছে। এছাড়া অস্ত্র প্রস্তুতেও ভারত বিকাশ লাভ করেছে।
এছাড়া ভারত যদি এই ব্রিকস সম্মেলনের (Brics Conference) মাধ্যমে রাশিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং আরবের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয় তবে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশ গুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হবে। ব্রিকস মুদ্রা এবং ভারতের ইউপিআই এর যোগসূত্র ডলারের মূল্যও কমিয়ে দিতে পারে।
আরো পড়ুন: SCO সামিটে ভারতকে বন্ধুত্বের বার্তা পাকিস্তানের! কোন পথে গড়াবে সম্পর্কের জল
যদিও রাশিয়ার উপর লাগু হওয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আমেরিকাকে কিভাবে সাহায্য করেছে তা এখন প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া ইউরোপ মহাদেশের প্রগতিশীল দেশ গুলির মধ্যে একটি এবং ক্রমাগত দ্রুত উন্নতি লাভ করার জন্য শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। তবে কি এই জন্যই এমন হিংসাত্মক মনোভাব আমেরিকার?
এই অবস্থায় ভারতের উপরেও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে ব্রিকস সম্মেলনের (Brics Conference) উপর নির্ভর করছে এর পরবর্তী পদক্ষেপ। যা বর্তমানে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা এলে শুধু মাত্র ভারত একা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আমেরিকাও।