আমরা অনেক সময় নানা কাজের জন্য টাকার প্রয়োজন ভেবে এটিএম থেকে তুলে বাড়িতে টাকা রাখি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বাড়িতে নগদ অর্থ কত পরিমাণে রাখা যায়। এই ডিজিটাল লেনদেনের যুগে মানুষ নগদ টাকা রাখার থেকে ইউপিআই, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহার করে। তাও অনেক সময় প্রয়োজন এর কথা ভেবে আমরা নগদ টাকা তুলে রাখি।
আয়কর দপ্তর বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। আপনি যদি যথাযথ এই নিয়ম না মানেন তাহলে টাকার উৎস সম্পর্কে আয়করকে আপনার কৈফিয়ৎ দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আয়কর নগদ অর্থ রাখার ক্ষেত্রে ঠিক কি কি নিয়ম মানতে বলছে।
আয়করের নিয়ম অনুসারে, আপনি যদি বেশি নগদ টাকা তুলতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্যান কার্ড দিতে হবে। যদি কেউ একেবারে ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ তোলেন তখন তাকে প্যান কার্ড দেখাতে হবে। অপরদিকে যদি আপনি আপনার অ্যকাউন্টে দু লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমাও করেন, তাহলে প্যান এবং আধার দেখাতে হবে। সুতরাং আপনাকে আপনার আয়ের উৎস সম্পর্কে সব সময় অবগত রাখতে হবে। এক বছরে আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি টাকা তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দুটো সিম ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, বিরাট অফার দিচ্ছে বিএসএনএল
এবার আসা যাক আপনি বাড়িতে মোট কত নগদ অর্থ রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের তরফ থেকে বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার জন্য কোনো ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়নি। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে বাড়িতে আপনি আপনার ইচ্ছামত নগদ টাকা রাখতে পারেন। এমনকি এই টাকার লেনদেনও আপনি করতে পারেন। তবে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, সেটা যদি না মানেন তাহলে আয়কর বিভাগ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারেন। অথবা আপনার মোটা অংকের জরিমানাও দিতে হতে পারে।
বাড়িতে আপনি নগদ অর্থ রাখার রাখতে পারেন। কিন্তু আপনার আয়ের উৎস সম্পর্কে তথ্য অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। অনেক সময় আমরা শুনতে পাই যে, কোনো ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বা কোন আমলার বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এই টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ফলে ওই নগদ অর্থ আয়কর বিভাগ বাজেয়াপ্ত করে নেয় এবং টাকার মালিককেও গ্রেফতার করা হয়। অর্থাৎ এর থেকে বোঝা যায়, আপনি বাড়িতে যত খুশি নগদ অর্থ রাখতেই পারেন। কিন্তু তার উৎস সম্পর্কে স্বচ্ছ তথ্য থাকা প্রয়োজন।