Mayanmar Conflict: ইউনাইটেড লিগ অফ আরাকানের সামরিক শাখা আরাকান আর্মির লক্ষ্য হল স্বাধীনতা অর্জন। স্বাধীন দেশ গড়াই তার লক্ষ্য। আরাকান আর্মি খুব শীঘ্রই তাদের লক্ষ্য অর্জন করবে। তিন মাস আগেও যে লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, সেই লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তারা। মায়ানমার ইউনিয়নের রাখাইন রাজ্যের ১৮ টি শহরের মধ্যে ১৫ টি ইতিমধ্যেই তারা দখল করেছে।
যদিও মায়ানমারের (Mayanmar Conflict) সামরিক বাহিনীর কাছে এখনও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, তবে সেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর থেকে ছিনিয়ে নিতে পারলে জয়ের বৃত্ত সম্পন্ন হবে আরাকান আর্মির। যে তিনটি স্থান এখনও আরাকান আর্মি জয় করতে পারেনি, সেগুলি হল, বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দর। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দরই হল সেই বন্দর যার উন্নয়নের জন্য কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় ভারত টাকা দিয়েছে।
দ্বিতীয় যে স্থানটি আরাকান আর্মিরা জয় করতে পারেনি, সেই স্থানটি হল কিউকফিউ বন্দর। স্থানটি এখনো মায়ানমার (Mayanmar Conflict) বাহিনীর হাতে রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চিনের সহায়তায় এই বন্দরটি নির্মিত হয়েছে। তৃতীয় স্থানটি হল মুংডু শহর। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাখাইন রাজ্যে অর্থাৎ সাবেক আরাকান দখল করে যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করে ফেলে, তাহলে ১৯৭১ সালের পর ও বাংলাদেশের জন্মের পর এটিই হবে এশিয়ার প্রথম সফল বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক অভিযান আর এই অভিযানের সফলতার ফলে যে নতুন একটি দেশের জন্ম হলেও হতে পারে।
আরো পড়ুন: রাশিয়ার চক্রান্তেই বিমান দুর্ঘটনা, বিস্ফোরক আজারবাইজান
তবে রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অংশ দখল করবার পর আর্মি মায়ানমারের সরকারের (Mayanmar Conflict) সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়। এই আলোচনায় বসবার জন্য চিন মধ্যস্থতা করেছে। উভয়পক্ষই হাইগাং চুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যে চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, আমরা সব সময় সামরিক সমাধানের পরিবর্তন রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও অভ্যন্তরীণ সমস্যাবলীর সমাধান করতে প্রস্তুত থাকব।
সম্প্রতি ভারত ও চিনের নিরাপত্তা কর্তাদের সাথে আরাকান আর্মির একটি গোপন বৈঠক হয় মায়ানমার বিষয়ে (Mayanmar Conflict), তারপরেই চিনের নেতৃত্বের প্রশংসা করে আরাকান আর্মি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে তাদের মানসিকতা। এই বিবৃতিতে তারা বলেছে, আরাকান জনগণের বিপ্লবী সরকার সেই সব বিদেশী বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দেবে, যা আরাকান অঞ্চল কে উপকৃত করবে ও এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে এই সরকার নানা প্রকল্প ও ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করবেন।