India Canada Relations: ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কানাডা, মিলছে ক্ষতির আভাস

India Canada Relations: ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কানাডা, মিলছে ক্ষতির আভাস। বর্তমানে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো দিকে এগোচ্ছে না তা আমরা সবাই জানি। এই পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে মোড় নেবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সামনের বছর অক্টোবর মাসে কানাডাতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজিত হতে চলেছে। সেই নির্বাচনে মধ্যে দিয়েই কিছুটা হলেও নির্ধারিত হবে ভারত ও কানাডার সম্পর্কের (India Canada Relations) পরিণতিও। যদি এবারও জাস্টিন ট্রুডোই জয়লাভ করেন তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।

সম্প্রতি কানাডা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত আর কানাডার বর্তমান সম্পর্কের (India Canada Relations) উপর ভিত্তি করে একাধিক বিকল্পের প্রয়োগ করতে পারে তারা। তার মধ্যে অন্যতম এবং বিশেষ বিকল্পটি হল ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। কানাডার প্রথম সারির নেতারাও ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টিকেই সমর্থন করছেন। জাস্টিন ট্রুডো তাদের সমর্থনেই এতদিন ধরে সরকার চালাচ্ছে। তাই এই সরকার থাকাকালীন ভারতের সাথে কানাডার সম্পর্ক ভালো হওয়ার কোন আশাই নেই। বরঞ্চ আরও খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে যে সমস্ত নেতারা সর্বাধিক ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হলো জগমিত সিং। একদিক থেকে তার উপর ভরসা করেই সরকার চালাচ্ছিল জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাদের মধ্যে বিভেদ শুরু হয়। এখন আর জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে সমর্থন করে না জগমিত সিং। কিন্তু তা বলে ভারতের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে কোনো প্রকার মতান্তর ঘটেনি তার। এই একটি বিষয়ে তিনি এখনো জাস্টিন ট্রুডোকেই সমর্থন করছেন।

আরো পড়ুন: পাকিস্তানে শুরু হলো গৃহযুদ্ধ, ভাঙ্গনের মুখে পড়লো দেশ

কিছুদিন আগে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিংয় নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে একে অন্যকে দুষেছে ভারত ও কানাডা। কানাডার দাবি ভারত এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় কোন প্রকাশ সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে ভারতও কানাডার উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে। এক দেশ থেকে অপর দেশের কূটনৈতিকদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটা খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে যা রীতিমত ক্ষতির আভাস দিচ্ছে।

ভারত ও কানাডার বর্তমান সম্পর্ক (India Canada Relations) বেশ গভীর। বিশেষত, ব্যবসায়িক দিক থেকে বেশ গভীরভাবেই জড়িয়ে রয়েছে এই দুটি দেশ। এই পরিস্থিতিতে এই মতবিরোধ, এই শত্রুতা দুই দেশের ক্ষেত্রেই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। ভারতের পাঞ্জাব থেকে বহু শিখ সম্প্রদায় কানাডায় পাড়ি দিয়েছে শিক্ষা, ব্যবসা, চাকরি ইত্যাদি কারণে। কানাডায় শেষ ২০ বছরে শিখদের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। সেই কারণেই হয়তো জাস্টিন ট্রুডো চাইছে কানাডায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় তাকে সমর্থন করুক। আর ভারতের সাথে সম্পর্কটা আরও খারাপ জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাক। এই সব কিছুর উত্তর বোধ হয় লুকিয়ে রয়েছে ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্যানাডার সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *