Hunger strike: অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক অনশনকারী, ভর্তি করা হলো আরজি করের সিসিইউ বিভাগে

Hunger Strike: সম্প্রতি কলকাতার বুকে ঘটে গেছে এক নারকীয় হত্যাকান্ড। আজিকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কর্মরত মহিলা ডাক্তারকে অবর্ণনীয় অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রত্যেকে আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। সবার মুখে একটাই ডাক। আরজিকর কান্ডের প্রতিকার চাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়ার ডাক্তাররা ধর্মতলার মোড়ে অনশনে বসেছিলেন। সম্প্রতি অনশন চলাকালীন (Hunger Strike) এক ডাক্তারের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

আজ প্রায় তিন মাস হতে চলল এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার তেমন কোন সুরাহা হয়নি। একজন অভিযুক্তকেও শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। নিদেন পক্ষে জেল হেফাজতেও নেওয়া হয়নি কাউকেই। জুনিয়ার ডাক্তার প্রায় এক সপ্তাহর বেশি সময় ধরে ধর্মতলার মোড়ে অনশনে বসেছেন। তাদেরও দাবি একটাই আরজিকর কান্ডের প্রতিকার চাই। সুরক্ষা চাই। অনশনের (Hunger Strike) আট দিনের মাথায় আবারো একজন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তাকে ইতিমধ্যে ভর্তি করা হয়েছে আরজি করের সিসিইউ বিভাগে।

আরজি করের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের গতিবিধি সম্পর্কিত একাধিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়ে বেশ চর্চাও চলছে চারিদিকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই অনশনের খবরটি। প্রায় আট দিন হতে চলল অনশনে (Hunger Strike) বসেছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। এই ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড় চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। অনশনের আট দিনের মাথায় অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় নামক এক জুনিয়ার ডাক্তার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। শোনা গেছে সন্ধ্যের পর থেকেই তার শরীর খারাপ লাগছিল। তাকে ওষুধও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতে কোন উপকার হয়নি। এর পরেই বাধ্য হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে প্রকাশিত ময়না তদন্তের রিপোর্ট কতটা বাস্তব, প্রকাশ্যে আনলো এইমস

এর আগে অলোক ভার্মা নামের এক জুনিয়ার ডাক্তারের অসুস্থতার খবর সামনে এসেছিল। তারপরে অনুষ্ঠূপের শারীরিক অবনতি রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু এরা দুজনই নয়, অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও এক অনশনকারী (Hunger Strike) অনিকেত মাহাতো। তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার শরীর থেকে রক্ত পড়ছে। এই কথা সহকারীদের জানাতেই তাকে পরীক্ষা করতে শুরু করে চিকিৎসকরা। তাতে কোন ফল পাওয়া না গেলে ধর্না মঞ্চ থেকে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তার শারীরিক অবস্থারও কোনো উন্নতি দেখা যায়নি এখনো পর্যন্ত।

ধর্না মঞ্চ থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত গোটা রাস্তাটা রীতিমতো গ্রিন জোন করে নিয়ে যেতে হয়েছে অনিকেতকে। পাশাপাশি অনুষ্টুপের খবর স্বাভাবিকভাবেই সাধারণের মনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে। ধর্না মঞ্চের স্লোগানের পরিমাণ আরো অনেক বেশি জোরালো হয়ে গেছে। একের পর এক অনশনরত (Hunger Strike) জুনিয়ার ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তাদের মনের জোর এখনো কমেনি। এখনো তারা সদর্পে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তাররা। অনিকেত এবং অনুষ্টুপের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরো বেশি জোরালো হচ্ছে স্লোগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *