Site icon লোকাল সংবাদ

ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক, কোন কোন দিন হতে পারে ব্যাংক ধর্মঘট?

ব্যাংক ধর্মঘট

প্রতিনিধত্বমুলক

দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংকে বহু শূন্য পদ খালি। সাথে প্রচণ্ড কাজের চাপে কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিলেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন।  ধর্মঘটের আগের দুদিন মাসের চতুর্থ শনিবার এবং রবিবার হওয়ায় ব্যাংকে কাজ হবে না মোট চার দিন। ফলে গ্রাহকেরা অসুবিধার মুখে পড়তে পারেন।

ব্যাংক অফিসারদের দুই সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এবং এআইএনবিওর সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিনের কাজের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবি-র সাথে ইউনিয়নগুলির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল তা এখনও কার্যকর হয়নি। তাছাড়া অনেকদিন ধরে ব্যাংকে অফিসার ও কর্মী নিয়োগ বন্ধ আছে, তাদের দাবি দ্রুত পূরণ করতে হবে।

এখন ব্যাংকে গেলেই দেখা যায় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। অনেক সময় দেখা যায় অনেক কাউন্টার বন্ধ রয়েছে ব্যাংকের। ফলে গ্রাহক ও কর্মী দুপক্ষেরই অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। তাই এই দুদিকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার একমাত্র উপায় হল কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করা। সেইজন্যই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী দিনে। যাতে গ্রাহকেরা উন্নত পরিষেবা পায় সে জন্যই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১১০৪টি শূন্যপদ, মাধ্যমিক পাশেই করা যাবে উত্তর-পূর্ব রেলওয়েতে আবেদন

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ ও ২৫ তারিখ ব্যাংক ধর্মঘট করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। টানা দুদিন ধরে এই ব্যাংক ধর্মঘট চলবে। মূলত কর্মী নিয়োগ ও ৫ দিনের কাজের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক সংগঠনগুলির যৌথ ফোরাম ইউএফবিইউ-র সদস্য সুদীপ দত্ত ও এআইবিইউও-র সভাপতি রাজেন নাগর জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংকের বহু শূন্যপদ খালি। শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে না। এর ফলে গ্রাহকরা অসুবিধার মুখে পড়ছেন। বহুবার বলা সত্বেও কর্তৃপক্ষ কথা শুনছেন না, তাই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আইডিবিআই ব্যাঙ্কে কমপক্ষে ৫১% শেয়ার কেন্দ্রের হাতে রাখার দাবিও জানান তারা।

এদিকে ব্যাঙ্কের কাজ মানেই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হয়। একটু এদিক ওদিক হলেই বিরাট বিপদ। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই কর্মীদের। একের পর এক দায়িত্ব বাড়ছে ব্যাঙ্কের কর্মী আধিকারিকদের উপর। দিনের পর দিন ধরে এই পরিস্থিতি। একদিকে সাধারণ গ্রাহকদের নানা কাজ। তারপর আবার সরকারি নানা প্রকল্পের কাজ। এদিকে বহু ব্যাঙ্ক কর্মী আধিকারিক অবসর নিয়েছেন। আবার অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। ব্যাঙ্কের কাজের অন্যতম অঙ্গ হল টার্গেট পূরণ করা। আর সেই কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে অনেকে মানসিক অবসাদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তাই সব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version