Shakib Al Hasan: সাকিবকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হলো মিরপুর, চলছে সমর্থক ও বিরোধীদের লড়াই। সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। এই টেস্ট ম্যাচগুলি খেলার জন্য সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেট দল বাংলাদেশ এসেছে। সোমবার দুই দলের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ খেলার পরই অবসর নেবার কথা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। কিন্তু তারপরও তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জটিলতা। স্বপক্ষ এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে বেঁধেছে বড় লড়াই।
সাকিব (Shakib Al Hasan) পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি কোন খেলায় অংশগ্রহণ করবেন না। কিন্তু এরপরও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। সুরক্ষার কারণে দেশে ফেরা হয়নি তার। তবে প্রথম টেস্ট ম্যাচেও রাখা হয়নি তাকে। কোন কিছুই ঠিকমতো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না। সবকিছুই যেন ধোয়াশায় ঢেকে রয়েছে। সাকিবের এই সিদ্ধান্ত এবং দলের গতিবিধি কোন কিছুই পরিষ্কার নয় সমর্থকদের কাছে। তবে কি কানপুর টেস্ট ম্যাচই সাকিব আল হাসানের শেষ টেস্ট ম্যাচ হতে চলেছে? সঠিক উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
সোমবার প্রথম ম্যাচ খেলার পর মঙ্গলবার সাকিবকে (Shakib Al Hasan) কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিশাল গোলোযোগ। সপক্ষ এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে লড়াই। সাকিবের সমর্থকরা তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলা এই টেস্ট ম্যাচে নেওয়া নিয়ে বেশ কিছু দাবী দাওয়া তুলেছিলেন। তাই নিয়েই চলছিল বিক্ষোভ। হঠাৎই বিরোধীপক্ষরা এসে তাদের উপরে হামলা চালায়। সেখান থেকেই সূত্রপাত গন্ডগোলের। একদিকে সাকিব ভক্তরা চাইছেন তাকে দেশের মাটিতে খেলতে দেওয়া হোক, অন্যদিকে তার বিরোধীপক্ষ চাইছে তাকে যেন আর কখনো দেশের জার্সিতে খেলতে দেখা না যায়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করে যে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
আরো পড়ুন: বাঙালি আরসিবি সমর্থকদের জন্য রইল দারুন সুখবর, দলের মেন্টর হতে পারে সৌরভ গাঙ্গুলী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে একটি সাংবাদিক বৈঠকে সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ককে বলতে শোনা যায় দলে সাকিব নেই এটা তাদের জন্য সুখবর। সাকিব অত্যন্ত ভালো একজন বোলার, ক্রিকেটের দুনিয়ায় শক্তিশালী খেলোয়াড়। তাই তার বিরুদ্ধে খেলতে হবে না এটা অবশ্যই ভালো খবর। তবে ঘটনাটি বেশ দু:খজনকও। অনেককেই এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ভালো প্লেয়ার থাকলেও সাকিবের খেলতে পারাটা আনন্দের হতো। তবে কোন খেলোয়ারই সাকিবের (Shakib Al Hasan) এই ঘটনাটি নিয়ে বেশি কিছু কথা বলতে চাননি।
এর আগে বাংলাদেশ যখন ভারতে খেলতে এসেছিল তখন হতাশায় চোখের জল ফেলতে হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে। টি-টোয়েন্টি আই সিরিজের কোনরকম ভালো ফল করতে পারেনি তারা। এরপর আর বেশি সময় নষ্ট করেনি দল। তৎকালীন কোচকে পত্রপাঠ বিদায় জানায় তারা। ইতিমধ্যে নতুন কোচ হিসেবে জয়েন করেছেন ফিল সিমন্স। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলা এই টেস্ট ম্যাচ দিয়েই তার হাতে খড়ি হলো। কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। তাকে নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। তবে এরই মাঝে সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) এই বিষয়টি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলে মাথায় চিন্তার ভাজ ফেলে দিয়েছে।