Plastic Egg: সাবধান, বাজারে বাড়ছে নকল ডিমের রমরমা, যা হতে পারে শারীরিক ক্ষতির কারণ

Plastic Egg: সাবধান, বাজারে বাড়ছে নকল ডিমের রমরমা, যা হতে পারে শারীরিক ক্ষতির কারণ। দেখে বোঝার উপায় নেই। সাধারণ ডিম এবং প্লাস্টিক ডিমের (Plastic Egg) মধ্যে চোখে দেখে কোন পার্থক্য করা প্রায় অসম্ভব। আর সেই কারণেই প্লাস্টিক ডিমের বাজার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই প্লাস্টিক ডিম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন কোনটা প্লাস্টিকের আর কোন ডিমটি আসল? আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো প্লাস্টিকের ডিম চেনার উপায় সম্পর্কে।

চোখের দেখায় নকল ডিম আর আসল ডিমের পার্থক্য বের করা একটু সমস্যা জনক। তাই অনেকেই বাজারে যাচ্ছেন আসল ডিম কিনতে কিন্তু নকল ডিম কিনে বাড়ি ফিরে আসছেন। আর্থিকভাবে তো ঠকে যাচ্ছেনই, পাশাপাশি শারীরিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। এই প্লাস্টিকের ডিমগুলি (Plastic Egg) তৈরি করা হয় ক্ষতিকারক কেমিক্যালের মাধ্যমে। প্লাস্টিকের ডিমে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা শরীরে পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই সরকারও প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে রীতিমত চিন্তিত।

তবে একটু সতর্কভাবে কেনাকাটা করলেই দুটি ডিমের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব। প্লাস্টিকের ডিম (Plastic Egg) আর আসল ডিম আলাদা করতে চাইলে সবচেয়ে সহজ উপায় হল খোলসের পরীক্ষা করা। আসল ডিমের খোলস একটু এবড়ো খেবড়ো হবে। কখনোই একেবারে মসৃণ হবে না। ডিমের গায়ে হাত দিলে তা পরিষ্কার বোঝা যায়। কিন্তু প্লাস্টিকের ডিমের খোলস একেবারেই মসৃণ হবে। যেহেতু সেটাকে কৃত্রিমভাবে বানানো হচ্ছে তাই তার মধ্যে প্রাকৃতিক গুণাবলী একেবারেই থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

আরো পড়ুন: ক্যালকুলেটরের কিছু অজানা ব্যবহার, জানুন এই সমস্ত বটনের কার্যকারিতা

এছাড়া ওজনেরও বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আসল ডিম এবং প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic Egg) মধ্যে। সাধারণত ডিমের আকার যত ছোটই হোক না কেন তা ওজনে একটু ভারী হয়। কিন্তু প্লাস্টিকের ডিমের ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই অন্য প্লাস্টিকের ডিম আকারে যতই বড় হোক না কেন ওজনে একেবারেই হালকা। যদি কখনো দেখেন আকার অনুযায়ী ডিমের ওজন কম তাহলে বুঝবেন সেই ডিমটি প্লাস্টিকের হবার সম্ভাবনাই বেশি।

আসল ডিম ও প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic Egg) মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার আরো একটি সহজ পদ্ধতি আছে। আমরা অনেকেই জানি পচা ডিম এবং ভালো ডিমের পার্থক্য বের করার জন্য তা জলে ফেলে দেখা হয়। ঠিক একই পদ্ধতিতে বের করা যায় আসল ও নকল ডিমের পার্থক্যও। যদি ডিমটি নকল হয় তবে তা জলের তলায় ডুবে যাবে। আর যদি ডিমটি আসল এবং ভালো হয় তাহলে তা জলের উপরে ভেসে থাকবে। এবার থেকে ডিম কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *