Ganga Sagar: সামনেই আসছে গঙ্গা সাগর মেলা। এদিকে বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গঙ্গাসাগরের নিকটবর্তী সমুদ্র তটগুলি। সম্প্রতি কিছু ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গিয়েছে কপিলমুনি মন্দিরের কাছের কয়েকটি সমুদ্র সৈকত। আবার প্রকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়েছে একটি সমুদ্র সৈকত। এবার সেই নতুন তৈরি হওয়া সৈকতে পুণ্যস্নান করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। যার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সাজসজ্জার তোড়জোড়।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী গঙ্গাসাগর (Ganga Sagar) মেলা প্রাঙ্গণের যে পুরানো ১ নম্বর সৈকত ছিল সেটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এবার থেকে এই নতুন তৈরি সৈকতটিকে ১ নম্বর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সৈকতটি মূল মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেশ খানিকটা দূরে রয়েছে তবে প্রশাসন বেশিরভাগ পূন্যার্থীকে এই সৈকতেই আনার কথা ভাবছে। তাই যাতে পুণ্যার্থীরা সরাসরি বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা এই নতুন সৈকতে আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবার মেলা চলাকালীন ২, ৩ এবং ৪ নম্বর ঘাটে স্নান করা বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং বিকল্প হিসেবে খুলে দেওয়া হচ্ছে ১, ৫ এবং ৬ নম্বর ঘাট। মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের এই ঘাটগুলিকে নতুন করে আবার সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গঙ্গাসাগর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক এই মর্মে বলেন নতুন কোনো ঘাট তৈরি করা হচ্ছেনা তবে গঙ্গাসাগর (Ganga Sagar) দর্শনার্থীদের সুবিধায় চওড়া রাস্তা, পানিও জলের সুবিধা, শৌচাগার এবং অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মেলায় বেশি পূর্ণার্থীর নিরাপদ স্নানের সুবিধা দেওয়া।
আরো পড়ুন: শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার নতুন ট্রেন, বছরের শুরুতে চমক দিলো পূর্ব রেল
সূত্রের খবর এই তীর্থস্থান রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ভাঙন মোকাবিলায় চেন্নাইয়ের IIT -এর পরামর্শে একটি প্রকল্প রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে নেদারল্যান্ড সরকারের সাথে। গঙ্গাসাগরের (Ganga Sagar) উন্নয়নের এই প্রকল্পের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬৭ কোটি টাকা। এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থ ভান্ডারের সাহায্য না পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই ভাঙন রোধের পরিকল্পনা করেছে।
ওই অঞ্চলের জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান গঙ্গাসাগর (Ganga Sagar) মেলা প্রাঙ্গণের ১ নম্বর স্নানঘাট ভালো করে সাজিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে পুণ্যার্থীরা সব রকম সুবিধা পাবেন। ভাঙনের জন্য কয়েকটি স্নান ঘাট বন্ধ রাখা হলেও নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখবে প্রশাসন। এরপরই স্নান ঘাটগুলি খুলে দেওয়া হবে পুণ্যার্থীদের জন্য।