Central Government: পশ্চিমবঙ্গের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের অন্ধ দৃষ্টির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এতে রাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গ বেশ বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন একথা সবাই জানে। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ সব কিছুতেই বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে রাজ্যের মানুষ। বছরের পর বছর চলতে থাকা এই বিতর্কের শেষে এবার বাংলার বরাদ্দ দেওয়া শুরু করলো কেন্দ্র।
তবে বিষয়টির সত্যতা নিয়ে বিশ্লেষণ করেনি কেউই। তবে গত কয়েক বছরে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য মোদি মমতা সরকারের টানাটানি ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিযোগ ওঠে গত দুই বছরে রাস্তা তৈরিতে সড়ক যোজনার এক পয়সাও পায়নি রাজ্য। এখানেই শেষ নয় জানা যাচ্ছে গত অর্থ বর্ষে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া ২০২২ সাল থেকে আটকে রয়েছে আবাস যোজনার ৮২০০ কোটি টাকা। তবে এবার কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের সুপারিশে রাজ্য তার যোগ্য অর্থ পেতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া স্কুলের মিড ডে মিলেও নাম মাত্র টাকা দেয় কেন্দ্র। তবে এই সবের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সবথেকে বড় সুখবরটি এলো। কেন্দ্র থেকে পাঠানো চিঠি এসে পৌঁছাল রাজ্যে। প্রায় দুই বছর পর গ্রামীণ সড়ক যোজনার এক হাজার কোটি টাকার একটু বেশি পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলো কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এর আগে বাংলাকে ৩৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। তারপর এই দুই বছর পর আবার টাকা বরাদ্দ করলো কেন্দ্র। এটা খুশির কিছু না হলেও রাজ্য কেন্দ্র সম্পর্কে যে ইতিবাচক হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আরো পড়ুন: মূল ভূখণ্ডের সাথে জুড়তে চলেছে সাগরদ্বীপ, তৈরি হবে গঙ্গাসাগর সেতু
সূত্রের খবর মোট টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ দেয় কেন্দ্র আর বাকি ৪০ শতাংশ তুলে দিতে হয় রাজ্যকে। কিছুদিন আগে মমতা সরকার ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য টাকা চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। যার মধ্যে ৩ হাজার কিলোমিটারের রাস্তা তৈরির অনুমোদন দিয়ে টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। মূলত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন শেষের পরেই কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) প্রকল্পগুলোতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ দেখে বারংবার পর্যবেক্ষণে এসেছে কেন্দ্রীয় টিম। এমনকি গত বছর ডিসেম্বরেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও ইতিবাচক কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি তাই আগামী দিনে যদি কেন্দ্রের তরফে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা বরাদ্দ শুরু হয় তখনই বোঝা যাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে কিনা।