Nabanna: রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারী এবং অফিসারদের মধ্যেকার বৈষম্য দূর করতে বিশেষ উদ্যোগের পথে হাঁটলো নবান্ন। বারবার এই অভিযোগ ওঠার ফলে এই বিষয়ে অবগত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই গিয়েছিলেন দিঘা সফরে তার মধ্যেই অভিযোগ ওঠে নবান্ন (Nabanna) সহ রাজ্যের বিভিন্ন সচিবালয়ের কর্মীরা সবসময় বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে বঞ্চিত হন অন্য স্তরের কর্মীরা।
জানা যাচ্ছে পদোন্নতির সময়েও অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন সচিবালয়ের কর্মীরা। তাই বারবার অভিযোগ ওঠে কেনো অন্য কর্মীরা এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একাধিকবার উঠেছে প্রশ্নও।এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নবান্নে (Nabanna) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে হাইপাওয়ার্ড কমিটি। জানা যাচ্ছে কর্মীদের মধ্যেকার বৈষম্য কিভাবে দুর করা যাবে এবং কিভাবে সমতা আনা যাবে এই বিষয়ে খসরা পেশ করতে গতকাল নবান্নে (Nabanna) একটি বিশেষ বৈঠকে বসেন হাইপাওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা।
নবান্ন (Nabanna) সুত্রে জানা যাচ্ছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এই কমিটির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে অর্থ পরিষদের অতিরিক্ত সচিব, পূর্ত দপ্তরের যুগ্ম সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন যুগ্ম অধিকর্তাও রয়েছেন। DA নিয়েও রাজ্যের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। চলছে মামলাও। তাই সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বৈষম্য দুর করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এতে সরকারি কর্মীদের কাজের আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: রাতের শেষ মেট্রোর বাড়তি ভাড়া, সিদ্ধান্ত জানাল কলকাতা মেট্রো
অন্যদিকে রাজ্যের প্রশাসন চলে তিনটি পদ্ধতিতে। সবার উপরে থাকেন সেক্রেটারি, এরপর থাকেন ডিরেক্টর, এরপর তৃতীয় এবং শেষ ধাপে থাকেন রিজিওনাল অফিস। এবার সবার উপরে যেহেতু সেক্রেটারি থাকে তাই সবথেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া সেক্রেটারির দপ্তরে কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগও বেশি থাকে। এখানকার লোয়ার ডিভিশন ক্লার্করা পদোন্নতি পেয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি এমনকি স্পেশ্যাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পর্যন্ত পেতে পারেন। সেখানে অন্য দপ্তরে এই সুবিধা থাকেনা। সেই জন্যই নবান্নে (Nabanna) বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় বৈঠকের।
শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও কোনরকম সুবিধা পাননা তাঁরা। এই নিয়ে কর্মীদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। আর এই ক্ষোভ মেটাতেই বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে নবান্ন (Nabanna)। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ফেডারেশনের নেতা জানান কর্মীদের বৈষম্য দুর করার দাবি জানানো হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার দেরিতে হলেও যে পদক্ষেপ নিয়েছে এতেই ওনারা খুশি। নতুন বছর থেকে সমস্ত বৈষম্যের অবসান হোক তিনি এমনটাই চান।