Bizarre Train Incident: স্থলপথে দ্রুততম যান হিসেবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছুটে চলেছে ট্রেন। একেকটি দেশে একেকটি ধরন, উন্নত প্রযুক্তি, যাত্রী পরিষেবার নিরিখে ট্রেনের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যান্য প্রগতিশীল দেশের মতো ভারতেও ট্রেন দেশের অন্যতম ভরসাযোগ্য যান হিসেবে ছুটে চলেছে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ জুড়ে। সব দেশেরই ট্রেনের একটি মিল হলো নির্দিষ্ট লাইন ধরেই যাত্রা করে ট্রেন।
একই ভাবে গোটা পৃথিবী জুড়েই কত না জানি অবিশ্বাস্যকর ঘটনা ঘটে চলেছে। তার কিছু ঘটনায় যেমন জড়িয়ে থাকে মন খারাপ আবার কিছু ঘটনা হয় ঠিক ততটাই মজার। আবার কিছু ঘটনা থাকে মিশ্রিত প্রকৃতির। এরকমই একটি ঘটনা (Bizarre Train Incident) সামনে আসার পর নেট মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছে। মাত্র চার মিনিটের বিরতি, যার জন্য থমকে গেলো ১২৫টি ট্রেন! ট্রেন চলাচল এমন ঘটনা যে নজিরবিহীন সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য নিয়েছিলেন মাত্র চার মিনিটের বিরতি। আর এর জন্যই ব্যাহত হয় ১২৫টি ট্রেন চলাচল। এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার (Bizarre Train Incident) সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী শহর সেউল। ওই দেশের কোরিয়ান হেরাল্ড নামের এক পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া এই ঘটনা গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে সকাল ৮টার সময় শৌচালয় ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় একটি স্টেশনে থামানো হয় মেট্রো। চালক জরুরিকালীন অবস্থার ভিত্তিতে ট্রেন থামিয়ে নেমে যান। বিষয়টি নজরে পড়ে একজন স্টেশন ইঞ্জিনিয়ারের। চালককে ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্মে দৌড়াতে দেখে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তিনি।
আরো পড়ুন: পৃথিবীর ঘূর্ণনের বাস্তবিক প্রমাণ, ভাইরাল হল ভিডিও
এদিকে শৌচাগারটি অন্য প্লাটফর্মে থাকার কারণে কাজ সেরে মেট্রোর কেবিনে ফিরতে তার সময় লাগে ৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ড। পরে সেউল মেট্রো মারফত পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায় ওই ট্রেনের এই চার মিনিট থেমে যাওয়ার কারণে তার পরবর্তী ১২৫টি ট্রেনের সময়তালিকায় পরিবর্তন আনতে হয় কর্তৃপক্ষকে। যার জন্য অনেকগুলি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিটেরও বেশি দেরিতে চলছিল। এই ঘটনা (Bizarre Train Incident) সামনে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে নেট নাগরিকদের।
জানা যাচ্ছে এর ফল হিসেবে হাজার হাজার যাত্রীকে স্টেশনগুলোতে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। তবে কতৃপক্ষের দাবি যাত্রায় কিছুটা দেরি হলেও যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়নি। সাধারণত মেট্রো রেল চালকরা কোনো বিরতি না নিয়েই দুই থেকে তিন ঘণ্টা টানা কাজ করে থাকেন। সেখানে জরুরি প্রয়োজন না হলে একজন চালক এভাবে শৌচাগারের খোঁজে ছুট লাগাতেন না। তবে এই ঘটনার (Bizarre Train Incident) আকস্মিকতা এবং দুর্ভোগ অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে।