One Nation One Election: এক দেশ এক ভোটের বিল পেশে গরহাজির, শোকজ বিজেপির

One Nation One Election: গত বেশ কিছু মাস ধরেই চর্চায় ছিল এক দেশ এক ভোট বিল। এত চর্চা হওয়ার পরেও বিল পেশের দিন কেনো সংসদে গরহাজির সাংসদদের জবাব চেয়ে তলব করলো ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন লোকসভায় এক দেশ এক ভোট বিল পেশ করার সময় প্রশ্ন করলো রাজনৈতিক দলটি। অনুপস্থিত ছিলেন ২০ জন সাংসদ যার মধ্যে বাংলা থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন ৪ জন সাংসদ।

দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর অবশেষে মঙ্গলবার লোকসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশ করা হলো এক দেশ এক ভোট বিল (One Nation One Election)। যদিও আলোচনার জন্য বিলটি পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। এদিন বিল পেশের সময় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ২০ জন ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ। যার মধ্যে বাংলা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, জয়ন্ত রায় এবং জগন্নাথ সরকার অনুপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান নিয়ম মেনেই অনুপস্থিতির কারন জানতে চেয়েছে দল।

নির্ধারিত সময় মেনেই মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় লোক সভায় পেশ করা হয় এক দেশ এক ভোট বিল (One Nation One Election)। এই বিলটি পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। এর নাম দেওয়া হয়েছে সংবিধান বিল ২০২৪ (১২৯তম অ্যামেন্ডমেন্ট)। এদিন বিল পেশ করার পরেই তীক্ষ্ম কন্ঠে বিরোধিতা করতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিউয়ারি। এছাড়াও এই বিলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যসব দলগুলি।

আরো পড়ুন: ভারতের হাতে হাইপারসনিক মিসাইল, ঘুম উড়বে শত্রুদের

১৯৫১ সালে প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীন ভারতে। সেই সময়েই একসাথে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একই ভাবে ১৯৫৭, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে সম্পন্ন হয় ভোট প্রক্রিয়া। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে চার দফায় ভোট সম্পন্ন হয়। এরপর থেকেই বেশ কিছু রাজ্যের সরকারের পতন শুরু হয়। ১৯৭০ সালে ভেঙে যায় লোকসভাও। এরপর আবার ১৯৭১ সালে নতুন করে নির্বাচন করে গঠন করা হয়। তবে এবার ১৯৬৭ সালের আগের নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই এবার এক দেশ এক ভোট বিল (One Nation One Election) পাশ হলে এবার থেকে গোটা দেশে একসাথে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট সম্পন্ন হতে চলেছে।

কিন্তু শুনতে সহজ মনে হলেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে মোদি সরকারকে। এক দেশ এক বিল (One Nation One Election) পাশ করতে হলে লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে দুই কক্ষেই প্রয়োজন দুই তৃতীয়াংশ ভোট। এর উপর যদি বিজেপি সরকার লোকসভা ও বিধানসভার সাথে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার মতো স্থানীয় ভোট করবে তবে গোটা দেশের মধ্যে ৫০ শতাংশ সমর্থন প্রয়োজন। এদিন বিরোধী পক্ষের তরফে ডিভিশনের দাবি তোলা হয়। আর সেই নিয়ম মেনেই লোকসভার ভোট করানো হয়। যার জন্য সরকারের পক্ষে ছিল ২৬৯ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ১৯৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *