Mars: মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বেগজনক প্রমাণ ব্র্যান্ডেনবার্গের, কি দাবি করলেন তিনি?

Mars: পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে প্রশ্ন তোলা হলে উঠে আসে লাল গ্রহ মঙ্গলগ্রহের নাম। যে গ্রহে জীবের অস্তিত্ব আছে কিনা সেই নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। আর সেই গবেষণাতেই উঠে এলো হার্ভাড বিজ্ঞানী ব্র্যান্ডেনবার্গের এক চাঞ্চল্যকর দাবি। যা নিয়ে বর্তমানে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কি দাবি করেছিলেন ব্র্যান্ডেনবার্গ? লাল গ্রহে জীবের অস্তিত্বের সন্ধানে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার দাবিকে? সত্যিই কি প্রাণের অস্তিত্ব ছিল?

মঙ্গলে (Mars) নজরদারির দায়িত্বে ম্যাকমোনাগলস

লাল গ্রহের মাটিতে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে CIA তরফে ১৯৮৪ সালে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যাকমোনাগলসকে। যা পরিচালিত হয় মনরো ইনস্টিটিউট দ্বারা। আর সেখান থেকেই ২০১৭ সালে ‘Mars Exploration May 22, 1984’ নামের একটি গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। সেই নিয়েই চলে নানা গবেষণা। তবে সম্প্রতি আবারো জীব সন্ধানে নড়েচড়ে বসেছে সংস্থা। শুরু হয়েছে গভীর আলোচনা। আর সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ব্রান্ডেনবার্গের দাবি।

মঙ্গলগ্রহে প্রাণ সন্ধানে ব্রান্ডেনবার্গের দাবি

মঙ্গলে জীবের অস্তিত্ব নিয়ে ২০১১ সালে চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের প্রফেসর ব্রান্ডেনবার্গ। তিনি দাবি করেছিলেন একসময় মানব সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল লাল গ্রহের (Mars) মাটিতে। শুধু তাই না, মঙ্গলগ্রহের মাটি লাল হওয়ার কারণ হিসেবেও তিনি জানান পরবর্তীতে বিস্ফোরণের কারণে মাটির লাল হয়ে যায় এবং ভস্ম হয়ে যায় আস্ত সভ্যতা। প্রমাণ হিসেবে তিনি দাবি করেন মঙ্গলের মাটিতে যে রাসায়নিক উপাদান মিলেছে তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে পৃথিবীর পরমাণুকেন্দ্রের মাটিতে পাওয়ার রাসায়নিক উপাদানের সাথে।

যুক্তির বিরুদ্ধে ওঠে প্রশ্ন

তবে সেই সময় ব্র্যান্ডনবার্গের যুক্তিকে কেউ সমর্থন করেনি। বহু সতীর্থরা বিজ্ঞানীর এই যুক্তির বিরুদ্ধে তুলেছিলেন নানান প্রশ্ন। ব্যান্ডেনবার্গের এই দাবিতে আমল না দিয়ে তার বিরুদ্ধে সতীর্থতা প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, যদি লাল গ্রহের মাটিতে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে তার কোনো গহর বা কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই কেন।

আরও পড়ুন: সুনীতা-বুচের পর ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের পরবর্তী মিশনে কি?

ব্র্যান্ডনবার্গের যুক্তিতে সমর্থন জেসনের

তৎকালীন সময়ে ব্র্যান্ডেনবার্গের যুক্তি গ্রাহ্যতা না পেলেও সম্প্রতি তার তত্ত্বকে গুরুত্ব দিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা। বিশেষত তার দাবিতে সিলমোহর দিয়েছেন Danny Jones Podcast-এ অংশ নেওয়া জেসন রেজা জোরজানি। তিনি ব্র্যান্ডনবার্গের যুক্তিকে সমর্থন করে জানিয়েছেন মঙ্গলে (Mars) প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে বার্গের তত্ত্বটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক প্রমাণ। যুক্তির মাধ্যমে জেসন জানান প্রতি গ্রহেই নির্দিষ্ট উপাদানের ভিন্ন ভিন্ন আইসোটোপ রয়েছে। মোটামুটিভাবে প্রায় Xenon ১২৯-এর সমমাত্রিক আইসোটোপ রয়েছে সৌরজগৎ জুড়ে। শুধুমাত্র মঙ্গল গ্রহ ব্যতিক্রম।

ব্র্যান্ডেনবার্গের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা

এখানেই শেষ নয়, এই প্রসঙ্গে আরো বলতে গিয়ে জেসন তুলে ধরেন ব্র্যানডেনবার্গের গবেষণা। জেসন বলেন উচ্চ ঘনত্বের Xenon ১২৯ রয়েছে মঙ্গলগ্রহের (Mars) বায়ুমন্ডলে। যা একটি স্থিতিশীল, বর্ণহীন, গন্ধহীন, স্বাদহীন, তেজস্ক্রিয় গ্যাস। এটি স্বল্প মাত্রায় পরিলক্ষিত হয় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে। মূলত Xenon ১২৯ নির্গত হয় পরমাণু চুল্লি থেকে। এছাড়াও নাসা জানিয়েছে মঙ্গল গ্রহের Cydonia অঞ্চলে সন্ধান পাওয়া গেছে Xenon ১২৬ আইসোটোপের। শুধু তাই না, লাল গ্রহের এই অঞ্চলে বেশ কিছু স্তম্ভের মতো কাঠামো দেখা গিয়েছে। যা দেখে মনে হয় কোনো মানুষ তৈরি করেছে। এ বিষয়ে নাসা জানান মূলত ছায়া ও আকারের মিশ্রণে এমন সৃষ্টি হয়।.যা দেখে মনে হয় কোনো কাঠামোর উপর মুখ আঁকা রয়েছে। তবে ব্র্যান্ডেনবার্গের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা চললেও CIA মঙ্গল গ্রহে মানব সভ্যতার বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *