Buckland Bridge: ভেঙে ফেলা হবে বাকল্যান্ড ব্রিজ, হাওড়া স্টেশনে তৈরি হতে চলেছে নতুন সেতু

Buckland Bridge: ভেঙে ফেলা হবে বাঙ্গাল বাবু ব্রিজ, হাওড়া স্টেশনে তৈরি হতে চলেছে নতুন সেতু। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় এবং ব্যস্ততম রেল স্টেশন হাওড়া রেল স্টেশন। এই ষ্টেশনটিতে ঢোকার মুখে অথবা স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় একটি রেল ব্রিজ অতিক্রম করতে হয়। স্টেশনের শেষ প্রান্তে প্ল্যাটফর্ম সিগন্যালের পরেই রয়েছে এই অর্ধচন্দ্রাকার সেতুটি। এই সেতুর তলা দিয়েই চলাচল করে প্রত্যেকটি ট্রেন। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে সেতুটির মাঝ বরাবর ৭ নম্বর স্তম্ভে প্লেটের উপর লেখা রয়েছে “ইআইআর ১৯৩৩”।

এই সেতুটির নাম বাকল্যান্ড ব্রিজ (Buckland Bridge)। যদিও স্থানীয়রা একে বাঙাল বাবুর ব্রিজ বা চাঁদমারি ব্রিজ নামেও চিহ্নিত করে থাকেন। ৯০ বছরের পুরনো এই সেতুটি হাওড়ার অন্যতম ঐতিহ্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এবার এই সেতুটিকে ভেঙে ফেলা হতে চলেছে। এই সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। তবে এতে যাত্রীদের কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না। বরঞ্চ যাত্রী সুবিধার্থেই হাওড়া স্টেশনে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি ব্রিজ। বাকল্যান্ড ব্রিজ ভেঙে তার পরিবর্তে তৈরি হবে আরো চওড়া অত্যাধুনিক একটি সেতু। সেতুর ঠিক পরেই থাকছে রেলওয়ে ইয়ার্ড ঝিল সাইডিং।

শোনা যায়, রাজা নরসিংহ দত্তের কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানি এই জমিটি লিজ হিসেবে নিয়েছিলেন। তারপর সেখানেই তৈরি করেছিলেন এই ইয়ার্ড। তার ঠিক পাশেই ১৯৩৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল বাকল্যান্ড ব্রিজ (Buckland Bridge)। এই সেতুটি শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, এই সেতু ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানির অস্তিত্বকে ধরে রেখেছে। আজও এই সেতুই মনে করিয়ে দেয় ৯০ বছরের পুরনো ইতিহাস।

আরো পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তিতে নতুন অধ্যায়, রাজ্যে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত দুই বিদেশী সংস্থার

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, হাওড়া স্টেশনে নতুন যে ব্রিজটি তৈরি হতে চলেছে সেটি চার লেনের তৈরি করা হবে। এর মধ্যে দুটি লেনের চওড়া হবে সাড়ে সাত মিটার। বিদ্যাসাগর সেতুর মতনই কেবল স্টেড হবে এই নতুন সেতুটিও। একটি ৫০ মিটারের পাইলনের সাথে ইস্পাতের কেবল দিয়ে টানা থাকবে। এই কেবলগুলি একদিকে সেতুটির ১৩৪ মিটার মূল অংশকে টেনে ধরে থাকবে। অন্যদিকে ৬৬ মিটারের বাকি অংশ পাইলন এবং অন্য কেবল দ্বারা টানা থাকবে। সম্পূর্ণ সেতুটি তৈরি করতে খরচ পড়তে পারে প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা।

হাওড়া স্টেশনের এই নতুন সেতুট তৈরি করার বরাত পেয়েছে হরিয়ানার এক সংস্থা এসপি সিংগলা। কিছুদিন আগে মাঝেরহাট সেতুটিও তৈরি করেছিল এই সংস্থাটি। স্টেশনের একাধিক প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে। প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাতে ২৬ বগির ট্রেন দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই ভেঙে ফেলতে হচ্ছে পুরনো বাকল্যান্ড সেতুটি (Buckland Bridge)। নতুন যে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে তাতে রেলের অংশে কোনরকম পিলার রাখা হবে না। যার ফলে প্ল্যাটফর্ম বাড়াতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না কর্তৃপক্ষকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *