Third World War: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে নতুন মোড়, জড়াচ্ছে আমেরিকা-রাশিয়া

Third World War: পশ্চিম এশিয়ার আকাশজুড়ে যেন যুদ্ধের আগুন জ্বলছে। ইরানের মিসাইল ইজরায়েলের বুকে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠেছে সাইরেন। আতঙ্কিত মানুষরা দলে দলে বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছে, আকাশে শোনা যাচ্ছে মিসাইল বিস্ফোরণের আওয়াজ। ইজরায়েলের তেল আভিভ ও জেরুজালেম থেকে শুরু করে দেশের নানা অংশে একই চিত্র। অন্যদিকে, ইরানের তেহরান, আরাক, এবং কোমের রাস্তায় বিজয় উৎসব চলছে। এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, তবে কি এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) সুর বাজতে চলেছে?

ইজরায়েল-ইরানের এই সংঘাত এখন আর শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একের পর এক মিত্র দেশ তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, এবং সৌদি আরবও এই সংঘাতের তীব্র নিন্দা করেছে। তবে অন্যদিকে রাশিয়া সরাসরি ইরানকে সমর্থন জানিয়েছে এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে তীব্র বক্তব্য রেখেছে। ফলে দুই শক্তিধর শিবির—ইজরায়েল-আমেরিকা বনাম ইরান-রাশিয়া—মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে, যা বিশ্ব রাজনীতিকে এক বিপজ্জনক মোড়ে (Third World War) নিয়ে যাচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয় মঙ্গলবার রাতে। ইরান প্রায় ২০০টি মিসাইল ইজরায়েলের তেল আভিভের দিকে নিক্ষেপ করে। যদিও ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অনেক মিসাইল প্রতিহত করতে সক্ষম হয়, তবুও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করেছে, তবে ইরান দাবি করছে যে তাদের প্রায় ৯০% ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে।

এই হামলার পরই আমেরিকা ইজরায়েলের সহায়তায় এগিয়ে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ারকে ইরানি মিসাইল ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া এই সংঘাতে ইরানকে সক্রিয় সহায়তা করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফলে পশ্চিম এশিয়ার এই সংঘাত এখন বড় আকার নিচ্ছে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) আশঙ্কা বাড়ছে।

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক জরুরি বৈঠক শেষে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “ইরান বড় ভুল করেছে। এর পরিণতি ভুগতে হবে।” পাল্টা ইরানের পক্ষ থেকেও হুঁশিয়ারি এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে, “পরবর্তী আক্রমণ হবে এমন এক রূপে, যা ইজরায়েল কল্পনাও করতে পারছে না।” এই সংঘাত কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে গোটা বিশ্ব উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *