Justin Trudeau: ট্রুডোর কর্মকান্ডে পদত্যাগের আহ্বান কানাডা জনগণের! দাবি জাতীয় ছুটির

Justin Trudeau: জনসমালোচনার সম্মুখীন কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। মূলত ভারত এবং কানাডা সম্পর্কের অবনতিতে ট্রুডোর কূটনৈতিক পদক্ষেপেই ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশবাসী। ট্রুডোর এইরূপ আচরণে সমাজের মাধ্যমে ট্রুডোর মন্ত্রিত্ব পদত্যাগের আহ্বান জানালেন জনগণ। তবে শুধু আসন ত্যাগ নয়, তার এই পদত্যাগ উপলক্ষে জাতীয় ছুটির দাবি জানিয়েছে কানাডা দেশবাসী। কিন্তু কেন? কি এমন করলেন ট্রুডো সরকার।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সংকটকালীন অবস্থায় রয়েছে ভারত এবং কানাডা দুই দেশের সম্পর্ক। যার মূল কারণ হলো ভারতের বিরুদ্ধে আনা ট্রুডো সরকারের প্রমাণহীন কিছু অভিযোগ। যা কানাডার সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। যার মূলে রয়েছে ট্রুডো (Justin Trudeau) সরকার সহ দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আর সেই দুই কর্মকর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নথালি ড্রুয়েন এবং তাঁর এক সহকর্মী। যাঁরা কানাডিয়ান পুলিশের অভিযোগের পূর্বেই ভারতের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয় এই তথ্য, কি তথ্য?

যে তথ্যে মূলত অভিযোগ আনা হয় ভারতের বিরুদ্ধে। বলা হয় অপরাধী গোষ্ঠীর সাথে কাজ করছে ভারতীয় এজেন্টরা। পাশাপাশি লক্ষ্যভ্রষ্ট করছে খালিসতানি সমর্থকদের। এর সাথে ২০২২ সালের খালিস্তানি নেতা হারদীপ সিং নির্ঝরের হত্যার অভিযোগও তোলা হয় ভারতের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগে ট্রুডোর ওপর অসন্তোষ কেন কানাডা জনগণের?

আরো পড়ুন: পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা! বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির

কানাডা জনগণের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর (Justin Trudeau) ওপর অসন্তোষের কারণ হলো প্রমাণহীন অভিযোগ। অর্থাৎ ট্রুডো সরকার ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ। যা কানাডার আন্তর্জাতিক সম্মানকে ক্ষুন্ন করেছে বলে দাবি কানাডাবাসীর। আর এই সূত্রেই মন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনগণের মনে। দেশবাসীর কাছে বিতর্কিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে কানাডার রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তনের।

কানাডাবাসীর দাবি ট্রুডো সরকার কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। বিপরীতে বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলছেন। যা কানাডার সাথে ভারতে সম্পর্ককে পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত কানাডার এক আন্তর্জাতিক অংশীদার সম্পর্কের এই অবনতি ঘটাচ্ছেন। শুধু তাই না, খবর হয়েছে ট্রুডোর পদত্যাগের ডেডলাইনও জানিয়ে দিয়েছেন সাংসদেরা। সূত্রের খবর ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ট্রুডোর সিদ্ধান্ত নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লিবারেল সাংসদরা। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো কি করেন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *