Calcutta Medical College: বড়সড় সাফল্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের, নাম মাত্র খরচে ক্যান্সার চিকিৎসা

Calcutta Medical College: মেডিক্যাল সায়েন্সের সব থেকে জটিল এবং মারণ রোগ হলো ক্যান্সার। হতে গোনা কয়েকটি ক্যান্সার প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে সম্পুর্ণ নিরাময় সম্ভব হয় অন্যথায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইউ টার্ন নেয়। চলে গিয়েও ফিরে আসে আবার। এবার ক্যান্সার মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালে সাহায্যের হাত বাড়ালো সরকার। সরকারের সাহায্যে এবার পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালেও থাকবে HDT যার অর্থ হাই ডোজ থেরাপি উইথ অটোলগাস স্টেমলেস ট্রান্সপ্লান্টেশন। যার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা হলেও নাম মাত্র তাকাতেই কলকাতার সরকারি হাসপাতাল এই পরিষেবা দেবে।

সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত রোগীদের অন্যের ব্যবহার করা জিনিস ধরতে নিষেধ করেন ডাক্তাররা। তাই রোগীকে শুধুমাত্র একটি চেয়ার কমোড, একটি থার্মোমিটার ও দুটো গামলা নিয়ে আসতে বলেন চিকিৎসক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ গত এক বছরে ১৫ জন রোগীকে HDT পদ্ধতিতে ক্যান্সার মুক্ত করেছে। যদিও এইসব রোগীরা এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) অঙ্কলজি বিভাগের ডাক্তার স্বর্ণেন্দু বন্দোপাধ্যায় জানান কোন ক্যান্সার ফিরে আসে সেটা দেখলেই বোঝা সম্ভব!

তাঁর কথায় চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার সারাতে হাইডোজ কেমো থেরাপি দিতে হয়। এতে আবার রোগীর অস্থিমজ্জা শুকিয়ে যেতে পারে। এর জন্য রোগীর নিকটাত্মীয়দের কারো থেকে অস্থি মজ্জা সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এটাতেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রসঙ্গে, এদিন তিনি বলেন এই পক্রিয়াতে আতঙ্কের কিছু নেই ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তের অংকুর কোষ নিতে হয়। প্লেটলেটের মতোই সহজ ভাবে নেওয়া হয় রক্তের নমুনা।

আরো পড়ুন: ১৪৪ টি বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গার নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আশাবাদী হোটেল মালিকরা

মাঝ বয়সী থেকে শুরু করে ছোট শিশু এখনও অবধি অনেক আক্রান্ত রোগী আসছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজে (Calcutta Medical College)। তাদের উপরেই এই নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে সুফল মিলেছে। এই বিষয়ে ডাক্তার স্বর্ণবিন্দু বন্দোপাধ্যায় জানান শিশুদের শরীরে কিছু টিউমার আছে যা কেমো সেনসিটিভ! কেমো দিলেই গলে যেতে পারে। অনেকেই আবার ভাবেন চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার নিরাময় হয়না। তবে শিশুদের চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। তবে আবার ফিরেও আসছে। এবার এখানেই আনা হচ্ছে নতুন পদ্ধতি। কেমোর ডোজ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এতে এমন ভাবে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা হচ্ছে তা আর ফেরত আসতে না পারে। প্রথমে একটি স্ট্যান্ডার্ড কেমো দিয়ে সাময়িক আরোগ্যতা পাচ্ছে রোগী এরপর সংগ্রহ করে নেওয়া হচ্ছে অংকুর কোষটি। কোনো ফ্রিজিং পদ্ধতি ছাড়া তিনদিন ভালো থাকে এই কোষ। এরপর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কেমো দিয়ে রোগের প্রতিরোধ করা হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজে (Calcutta Medical College) এই সুবিধা থাকায় এবার সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *