আইপিএল ২০২৫ -এর নতুন মরশুমে অধিনায়কদের তালিকায় বেশ কিছু চমক রয়েছে। প্রতিটি দলই নতুন কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে, আর নেতৃত্বের পরিবর্তনগুলোও বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল। কে এল রাহুলের নাম শোনা গেলেও, শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কারণে অধিনায়ক হয়েছেন অক্ষর পটেল। দলে তাঁর ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এবার নেতৃত্বভার সামলানোর দায়িত্ব নিয়েও তিনি কেমন পারফরম্যান্স করেন, সেটাই দেখার বিষয়।
গুজরাত টাইটান্সের দায়িত্ব থাকছে শুভমন গিলের হাতে। হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই গিল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের উপর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে দলকে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে আবারও মাঠে নামবেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত মরশুমে তিনি খুব একটা ভালো করতে পারেননি, তাই এবার তাঁর কাঁধে বিশাল প্রত্যাশার চাপ থাকবে। রোহিত শর্মার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করার চ্যালেঞ্জ কতটা দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারেন, সেটাও ক্রিকেটপ্রেমীদের কৌতূহলের বিষয়।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নেতৃত্বে থাকছেন প্যাট কামিন্স, যিনি এবারের আইপিএলে একমাত্র বিদেশি অধিনায়ক। গতবার দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন, এবারও তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকবে হায়দরাবাদ শিবির। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পর এবার আইপিএলেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবেন তিনি।
ঋষভ পন্থ দিল্লি ক্যাপিটালসের পুরনো অধিনায়ক হলেও, এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। লখনউ সুপারজায়ান্টসের নেতৃত্বে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, যা অনেকের কাছেই চমক হিসেবে এসেছে। চোট কাটিয়ে ফেরা পন্থ কেমন পারফরম্যান্স করেন, সেটাই লখনউ শিবিরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রাহানেকে কেকেআরের বাছা হল অধিনায়ক হিসাবে?
অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্ক রাহানে। নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুস্তাফিজুর রহমান এবার কেমন খেলেন, সেটাই দেখার বিষয়। তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স দলকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক হবেন রজত পাতিদার। দলে বিরাট কোহলি থাকলেও, এবার নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে থাকছে না। কোহলির অভিজ্ঞতা দলের জন্য মূল্যবান হলেও, নতুন অধিনায়ক হিসেবে পাতিদারের ওপর দল কতটা নির্ভর করতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।
চেন্নাই সুপার কিংসের নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড। দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাডেজা তাঁকে সমর্থন করবেন। ধোনির অভিজ্ঞতা যে কোনও নতুন অধিনায়কের জন্যই বড় সহায়তা হতে পারে।
রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন সঞ্জু স্যামসন। জস বাটলার না থাকায় ব্যাটিংয়ে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে তাঁকে। দলে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা রয়েছে, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাব পূরণ করতে স্যামসনকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
অন্যদিকে, শ্রেয়স আইয়ার এবার পাঞ্জাব কিংসের নেতৃত্ব দেবেন। গত মরশুমে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করার পর এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্ব কতটা কার্যকর হয়, সেটাই দেখার বিষয়। এই মরশুমে প্রত্যেক দলের অধিনায়কের কাঁধে বড় দায়িত্ব থাকছে। নতুন কৌশল, নতুন নেতৃত্ব এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এই আইপিএলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।