Site icon লোকাল সংবাদ

ইউকো সহ ৩ ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, সুরক্ষিত আছে কি আপনার টাকা?

ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি

প্রতিনিধত্বমুলক

কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে ভারতের ব্যাংকিং খাতে আনতে চলেছে বিরাট পরিবর্তন। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে তিনটি বৃহত্তর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কোন কোন ব্যাংকের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত? ইউকো ব্যাংক, পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাংক এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা রয়েছে বাজেট ঘোষণা হওয়ার পরেই।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনার জন্য কি কি পরিবর্তন আসতে চলেছে গ্রাহকদের জীবনে? এই তিনটি ব্যাংকে গ্রাহকদের যে টাকা রয়েছে তা আদৌ কি সুরক্ষিত? ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে কতটা লাভ হয়েছে সরকারের? সমস্ত অজানা তথ্য জানতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে সরকারি মালিকাধীন ব্যাংকগুলিতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম থাকার কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) একটি নতুন নিয়ম চালু করেছিল। এই নিয়মের আওতায় প্রত্যেকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যূনতম ২৫% পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং দেওয়া হতো।

কিন্তু ২০২৬ সালের আগস্ট মাস পর্যন্তই সরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য এই নিয়ম মানার সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই শর্তপূরণ করতে পেরেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB), কানাড়া ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (BOI)। কিন্তু সরকারের এই শর্ত পূরণ করার পালা এবার এসেছে ইউকো ব্যাংক, পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব্যাংক ও ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের। ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে মূলধন বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে এবং বাজারে তাদের শেয়ারহোল্ডিং-এর স্থায়িত্ব বজায় থাকবে। এছাড়াও গ্রাহকরা পাবে আরো উন্নত পরিষেবা।

আরও পড়ুন: ই-শ্রম কার্ডে ভারত সরকার দেবে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা, এইভাবে করুন আবেদন

জানেন কি কোন ব্যাংকে সরকারের কত অংশীদারিত্ব রয়েছে? ভারতের বৃহত্তর পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার কিন্তু সরকারের হাতে রয়েছে। নিম্নে তালিকা দেওয়া হল –

সূত্র মারফত জানা গেছে যে, শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করেছে। শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ হবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।

অনেকেই হয়তো মনে করছেন যে এই শেয়ার বিক্রির ফলে ব্যাংকিং পরিষেবায় বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। আসলে ব্যাংকের মালিকানা বদলালেও গ্রাহকদের টাকা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে। এই ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির ফলে ব্যাংকগুলির মূলধন বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকদের আরো উন্নতমানের পরিষেবা দিতে পারবে এই ব্যাংকগুলো।

Exit mobile version