Starlink: আবারো বাঁধা পেলেন ইলন মাস্ক, স্টারলিংকের উপর শর্ত চাপালো কেন্দ্র

Starlink: আবারো বাঁধা পেলেন ইলন মাস্ক, স্টারলিংকের উপর শর্ত চাপালো কেন্দ্র। ভারতে অন্যতম ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করতে চাইছে স্টারলিংক। অনেকদিন ধরেই এই সংক্রান্ত আলোচনা চলছে ভারত সরকার ও ইলন মাস্কর মধ্যে। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে স্টার্লিংকের উপর কিছু শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যার কারণে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে এই সংস্থা। শর্ত না মানলে ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি পাবেনা স্টারলিংক।

স্টাইলিংকের (Starlink) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, তারা প্রত্যন্ত এলাকাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম। বিপদজনক পরিস্থিতিতেও এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট উদ্ধার কার্য চালানো যাবে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্টারলিংকের উপর চাপানো হয়েছে কিছু শর্ত। তবে শুধু স্টারলিংক নয় অ্যামাজনের উপরেও একই শর্ত চাপিয়েছে কেন্দ্র। শর্ত অনুযায়ী, দুটি সংস্থাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত করতে হবে। যতদিন না তা হচ্ছে ততদি ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি পাবে না এই সংস্থাগুলি।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে স্টারলিংককে (Starlink)। যেমন ডেটা নিরাপত্তা, কভারেজ এরিয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত কিছু তথ্য। কিন্তু এই সমস্ত তথ্য এখনো পর্যন্ত জমা করেনি সংস্থা। যার কারণে সংস্থাকে এখনো নিরাপত্তা স্তরের অনুমোদন দেয়নি ভারত সরকার। তবে এই খবরটি মুকেশ আম্বানির জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অনুমোদন পেয়েছে রিলায়েন্স। কিন্তু স্টারলিংক এখনো পর্যন্ত সেই অনুমোদন পায়নি।

আরো পড়ুন: দাম্পত্য কলহের জের, তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হলো রেলকে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিংক বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বড় স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা স্টারলিংক (Starlink)। কয়েক বছর আগেই ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল স্টারলিংক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। ভারত সরকারের শর্ত পরিপূরণ করতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে এই সংস্থা।

দেশবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। সেই কারণেই দেশের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে যতক্ষণ না স্টারলিঙ্ক প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিচ্ছে ততক্ষণ অনুমোদন মিলবে না ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে স্টারলিংকের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল স্টারলিংকের কাছে। স্টারলিংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তাদের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কেউই চীন বা পাকিস্তানের নাগরিক নন। ভারত সরকার এই তথ্য মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও ডেটা নিরাপত্তা এবং কভারেজ এরিয়া সম্পর্কিত তথ্যগুলি জমা করতে বলা হয়েছিল সংস্থাকে। যা এখনো পর্যন্ত জমা করতে পারেনি স্টারলিংক (Starlink)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *