Oil Extraction: রাজ্যে রয়েছে খনিজ তেল, খননের জন্য চিঠি দিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় পাওয়া গেছে খনিজ তেলের খোঁজ। কিন্তু খনন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মোট ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা খননের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত খননকার্য শুরু করার অনুমতি পাওয়া যায়নি রাজ্যের কাছ থেকে।
খনিজ তেল দেশের সম্পত্তি হিসেবেই বিবেচিত হয়। কিন্তু যে রাজ্যের মাটির তলায় সেই খনিজ তেল পাওয়া যাবে, খনিজ তেল তোলার জন্য বা খনন কার্য (Oil Extraction) চালানোর জন্য সেই রাজ্যের অনুমতি নিতে হয় কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রককে। রাজ্যের অনুমতি না পেলে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে কোন প্রকার ক্ষরণকার্য চালানো যায় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত অশোকনগরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছিল ২০১৮ সালে। তারপর কেটে গেছে প্রায় ৬ বছর। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও একাধিক জায়গায় পাওয়া গেছে তেলের খোঁজ। কিন্তু খননকার্য চালানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
খননকার্য (Oil Extraction) চালানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটি পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ সংগ্রহ করতে হয় কেন্দ্রকে। অশোকনগরে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া যাওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার পিএমএল এর জন্য আবেদন জানিয়েছে ওএনজিসি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার তার স্বীকৃতি দেয়নি। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, এই সংক্রান্ত মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। তার মধ্যে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছে ওএনজিসি, তিনটি চিঠি পাঠিয়েছে সরাসরি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এবং বাকি দুটি চিঠি পাঠিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। কিন্তু কোন চিঠিরই সদ উত্তর পাওয়া যায়নি রাজ্যের কাছ থেকে।
আরো পড়ুন: ডিসেম্বরেই হতে চলেছে ট্রায়াল, কবে থেকে চলবে হাওড়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো
ওএনজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অশোকনগরে যে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে তা রয়েছে প্রায় ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে। এছাড়া আরো একাধিক জায়গায় পাওয়া গেছে খনিজ তেলের সন্ধান। তালিকায় রয়েছে কাঁকপুল, রানাঘাট ও আরো অনেক জায়গার নাম। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে খনিজ তেল। এই প্রত্যেকটি জায়গায় খননের জন্যই দফায় দফায় রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। সাড়া মেলেনি রাজ্যের পক্ষ থেকেই। প্রশ্নের মুখে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের পেট্রোলিয়াম ভবিষ্যতও।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, এই খনন কার্য (Oil Extraction) শুরু হলে তাতে লাভটা পশ্চিমবঙ্গেরই হবে। খননকার্য চালানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে প্রায় ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কেন্দ্র। ক্ষরণকার্য শুরু হলে বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বাড়বে। রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এছাড়াও প্রতি বছর খনন কার্যের মাধ্যমে রাজ্যের আয় হতে পারে ৮১২৬ কোটি টাকা।