De Dollerization in India: টন টন শোনা কিনছে দিল্লি, রইলো এর নেপথ্যের কারণ

De Dollerization in India: জানুয়ারিতেই দ্বিতীয় বারের মতো আমেরিকার সিংহাসনে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। এর আগেই তাঁর গলায় ব্রিকস দেশ গুলির বিরুদ্ধে সুর শোনা গেলো। জানান বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্রিকস দেশ গুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। ডলারের মূল্য কমাতে ব্রিকস দেশগুলো নতুন মুদ্রা আনার কথা ভাবছে এই তথ্য পেতেই এসব দেশগুলিকে শিক্ষা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংকের কর্তা জানান এখনই ডি ডলারাইজেশনের (De Dollerization in India) পথে হাঁটবেনা ভারত। তবে শুধু মাত্র ডলার কেন্দ্রিক বাণিজ্য ভারতকে সমস্যায় ফেলতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প জেতার পর থেকেই মূল্য বাড়ছে ডলারের। প্রতি ডলারে টাকার দাম গিয়ে পৌঁছেছে ৮৫ টাকায়। ফলে ভারত ও জাপানের মতো দেশগুলি থেকে লগ্নি তুলে নিচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে শেয়ার বাজারে বড় ধস পরিলক্ষিত হয়েছে। এতে করে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির হার ও। আর এই জন্যই বিকল্প পথের সন্ধান করছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টাকার ব্যবহার বাড়াতে ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে কোয়েকদি দেশের সাথে। সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ব্রিকস দেশ গুলিকে ডি ডলারাইজেশনের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই বিষয়ে ভারত নিজের স্পষ্ট অবস্থান এখনও জানায়নি।

বিভিন্ন দেশের আর্থিক অবস্থা ও সমস্যা আলাদা হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্রিকস মুদ্রা তৈরি হলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারবে বলে জানাচ্ছেন অর্থ বিশেষজ্ঞরা। সব সমস্যার সমাধানে নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে ভারত। ডি ডলারাইজেশনের (De Dollerization in India) পথ বেছে না নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার না বাড়িয়ে এবার সোনা জমানোর পথে হাঁটছে ভারত। এবছর রেকর্ড হারে সোনা জমিয়েছে ভারত যা চীনের শীর্ষ ব্যাংকের চেয়েও বেশি।

আরো পড়ুন: মহিলাদের জন্য নতুন প্রকল্প নিয়ে এলো মোদি সরকার, প্রতিমাসে মিলবে ৭০০০ টাকা

বর্তমানে ভারতের সোনা রয়েছে ৮২২.৭৩ টন। দু বছর আগে তা ছিল ৭৬৯.৪২ টন। চলতি বছরের জুনে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সোনা কেনার রেকর্ড করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী RBI-এর তহবিলে মোট বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ৫৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এছাড়াও ৩,৭৭,২৫০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা জমা রয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকে।

মূলত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারে ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলার ফলে সোনা জমাতে চাইছে ভারত। এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের (De Dollerization in India)প্রাধান্যতা কিছুটা কমলো। কূটনৈতিক সমস্যার কারণে সরাসরি ডি ডলারাইজেশনের পথে না হাঁটলেও গোপনে একটা পরিকল্পনা করেছে যার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা নয় বরং সোনা জমাতে চাইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *