JioHotstar: ‘জিওহটস্টার’ ডোমেন কিনে বিপাকে দিল্লির প্রযুক্তিবিদ! মামলা দায়ের করল রিলায়েন্স

ভারতীয় শিল্পপতিদের মধ্যে বিখ্যাত এক শিল্পপতি হলেন মুকেশ আম্বানি। বলা যায় ভারতীয় ব্যবসার প্রথম সারির ব্যবসায়িক তিনি। জিও রিলায়েন্সের কর্ণধার হিসেবে দেশজোরা খ্যাতি তাঁর। গ্রাহকদের জন্য প্রায়ই নানান অফার এনে সুখবর দেন জিও সংস্থা। আর এই জিও রিলায়েন্স সংস্থার আক্রমণে পড়লেন দিল্লিবাসী এক প্রযুক্তিবিদ। ‘জিওহটস্টার’ (JioHotstar) ডোমেন কেনার পরেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। কিন্তু কেন? বিষয়টি ঠিক কি?

প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই ডিজিটাল পরিষেবা শক্তিশালী করতে বিশেষ উদ্যোগ চালাচ্ছিল জিও রিলায়েন্স সংস্থা। এর জন্য জিও এবং ডিজনি প্লাস হটস্টারকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। মূলত বহুজাতিক আমেরিকান সংস্থা হটস্টারের স্ট্রিমিং এবং জিও টেলিকমকে বাজারের আরো উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ডোমেনের উদ্যোগ নেন জিও সংস্থা। আর এই একত্রিকরণের খবর পেয়েই ‘জিওহটস্টার’ (JioHotstar) ডোমেন কেনেন দিল্লিবাসী ওই প্রযুক্তিবিদ। ডোমেনটির পুরো নাম ‘জিওহটস্টার ডট কম’।

দিল্লিবাসী ওই প্রযুক্তিবিদের নাম বা তার পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক তিনি তার ওয়েবসাইটে এই মামলা বিষয়ে দীর্ঘ পোস্ট করে পুরোটা জানিয়েছেন। দিল্লির এই উদ্যোগপতি জানান এই ডোমেনের ট্রেডমার্ক ও মালিকানা নিয়েই তার বিরুদ্ধে মামলা করেন মুকেশ আম্বানি সংস্থা। তিনি আরো বলেন যে এই রিলায়েন্স সংস্থা তার সাথে যোগাযোগ করে অম্বুজ যাদবের মাধ্যমে। যিনি রিলায়েন্স কমার্শিয়ালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট। শুধু যোগাযোগ করেছেন তা নয়, এই যোগাযোগের মাধ্যমে রিলায়েন্স সংস্থা ওই ব্যক্তির থেকে ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ১ কোটি টাকার বেশি এক্সিকিউটিভ টিউশন ফি চেয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: বিশেষ কোনো নম্বর নিতে চান? BSNL দিচ্ছে বড় সুযোগ!

কিন্তু ওই ব্যক্তি সংস্থাকে এক্সিকিউটিভ টিউশন ফি দেবেন না বলে অস্বীকার করেন। আর এই অস্বীকার করাতেই দিল্লিবাসী প্রযুক্তিবিদের বিরুদ্ধে মামলা করে রিলায়েন্স সংস্থা। যা নেটদুনিয়া মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লির ওই প্রযুক্তিবিদ। তবে তিনি যে শুধু এই অভিযোগের কথাই জানিয়েছেন তা নয়। তিনি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন বিষয়টিকে।

তার যুক্তি, ২০২৩ সালে তিনি যখন এই ‘জিওহটস্টার’ (JioHotstar) ডোমেন কেনেন তখন এই ডোমেনের কোনো ট্রেডমার্ক ছিল না। তাই মেধা-সম্পত্তি যে চুরি করা হয়েছে তা বলা ঠিক নয়। তিনি মনে করেন না সেই সময়ে ডোমেন কেনার সময় ট্রেডমার্ক ভেঙে তিনি বেআইনি কোনো কাজ করেছেন বলে। তার দাবি, তখন এই ট্রেডমার্কের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। তবে এই মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তার নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। তাই তার আশঙ্কা এই বিপাকে হয়তো তিনি ডোমেনের অ্যাক্সেস হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে নেটদুনিয়া মাধ্যমে অভিযুক্ত এত কিছু জানালেও মুকেশ আম্বানির সংস্থা তরফে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *