Share Market Trading: গত কয়েক মাসে ক্রমাগত পড়তে থাকছে বাজার। ফলে টাকা খোয়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। হিসেব বলছে গত ৭ মাসে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা মোট ৫০ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছে। ইতিমধ্যে গতকাল নিফটি এবং সেনসেক্স সব থেকে বেশি দশ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর এই পতন পরিলক্ষিত হলেই শেয়ার বাজারে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয় ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে। বিনিয়োগ করা টাকা যাতে খোয়া না যায় সেজন্য নজর দিতে হবে কয়েকটি বিষয়ের উপর।
শেয়ার বাজারে (Share Market Trading) বিনিয়োগ ও অর্থ উপার্জনের জন্য টেকনিক্যাল অ্যানালিটিক্সের জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক বলা যেতে পারে। মূলত কোথায় কিভাবে এবং কতটুকু বিনিয়োগ করা উচিত এটুকু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই জন্য শেয়ার বাজার ও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সমস্ত খবরে নজর রাখতে হবে। কোন শেয়ার কিনতে হবে শুধু এটি জানলেই হবেনা বরং কোন স্টক কখন কিনতে হবে এবং কখনই বা বেচতে হবে এই বিষয়েও জ্ঞান থাকা জরুরি।
শেয়ার বাজারে (Share Market Trading) বিনিয়োগ করার সময় দীর্ঘ ও স্বল্প উভয় মেয়াদের ক্ষেত্রেই ভালো করে জেনে নিতে হবে এবং আলাদা করে স্টক কেনা এবং বাছার কাজ করতে হবে। এছাড়াও যেসব স্টক কিনতে আগ্রহী তাদের সংস্থার ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করা প্রয়োজন। এছাড়া এই বিষয়ে অজ্ঞাত থাকলে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে screener.in, nseguide.com, equitymaster.com ইত্যাদি ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন: গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, রয়েছে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ
এছাড়াও শেয়ার বাজারের (Share Market Trading) নীতি ভুলে গেলে চলবেনা। এর নীতি হলো একটি ঝুড়িতে সব ডিম রাখা যাবেনা। অর্থ হলো এক ধরণের বেশি শেয়ার না কিনে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার অল্প অল্প করে কেনা ভালো। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো যায়। এছাড়াও বহুবিধ স্টকে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কমে আসে অনেকটা।
অন্যদিকে স্বল্প দিনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঝুঁকিও থাকে বেশি। তাই বিশেষজ্ঞরা স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগে নয় বরং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে বেশি মন দিতে চায়। এতে বাজারের ওঠা নামা বিনিয়োগের উপর কম প্রভাব ফেলে।