ID misuse: প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের কাছে পরিচয়পত্র হিসেবে ভোটার আইডি, প্যান বা আধার কার্ড থেকেই। এগুলি দৈনন্দিন জীবনে একাধিক কাজে খুব প্রয়োজন হয়। তবে পরিবারের কেউ মারা গেলে তার পরিচয় পত্র এবং নথিগুলিকে কি করবেন জানেন? যাতে কারো পরিচয় পত্র তার মৃত্যুর পর অপব্যবহার না করতে পারে সেই জন্য এই পদ্ধতিগুলো অবশ্যই জেনে রাখুন!
ভোটার আইডি:
ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয়রা শুধু মাত্র ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। তবে এর অপব্যবহারও (ID misuse) হয়ে থাকতে পারে। তাই কারো মৃত্যু হলে এই কার্ড বাতিল করা উচিত। এর জন্য নির্বাচন অফিসে গিয়ে ৭ নং ফ্রম পূরন করতে হবে। এর পরে মৃত ব্যক্তির ভোটার আইডি বাতিল করা যাবে। এর জন্য মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
আধার কার্ড:
আধার বাতিল সম্পর্কে কোনো তথ্য সরকার দেয়নি। তবে অপব্যবহার (ID misuse) এড়াতে এটি লক করা যেতে পারে। এর জন্য আধারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.uidai.gov.in-এ যেতে হবে। সেখানে My Aadhaar সিলেক্ট করে আধার সার্ভিসেস লেখায় ক্লিক করতে হবে। এরপর লক বা আনলক বায়োমেট্রিক্স অপশনে ক্লিক করলে আধার নাম্বার ও রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি OTP পাওয়া যাবে সেটি দিলেই আধার লক করা যাবে। তবে মৃত্যুর আগে আধার কার্ড ব্যবহার করে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রকল্প বা ঋণ নিলে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো উচিত।
আরো পড়ুন: ৫ টাকা বেশি নেওয়ায় IRCTC কে ১ লক্ষ টাকার জরিমানা
প্যান কার্ড:
আয়কর প্রদান ছাড়া ব্যাংক এবং ডিমাট একাউন্ট খোলার কাজে প্যান কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এর অপব্যবহার (ID misuse) রুখতে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অবশ্যই প্যান কার্ড বাতিল বা সমর্পণ করতে হবে। এর জন্য সরাসরি আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে এবং এই কাজ করার আগে মৃত ব্যক্তির নামের সমস্ত একাউন্ট অন্য কারোর নামে ট্রান্সফার করে নিতে হবে নাহলে একবার প্যান কার্ড বাতিল হলে এই কাজে সমস্যা হবে।
পাসপোর্ট:
আধার কার্ডের মত পাসপোর্ট বাতিলের কোনো আলাদা নিয়ম নেই এর নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। ওই মেয়াদ শেষে পাসপোর্ট স্বাভাবিক ভাবেই বাতিল হয়ে যায়। তাই পাসপোর্ট বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এটি সাবধানে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে যাতে কোনো অসাধু ব্যক্তি এর অপব্যবহার (ID misuse) না করতে পারে।