Orange Tea: দুধ চা, লিকার চা সব অতীত, এখন সকাল শুরু হবে কমলালেবুর চা দিয়ে। দিনের শুরুটা চা ছাড়া যেন ঠিক চলে না। বিশেষ করে শীতকালের সকাল মানেই ধোঁয়া ওঠা চা চাইই চাই। কিন্তু রোজ একঘেয়ে লিকার চা বা দুধ চা খেতে সব সময় ভালো লাগেনা। তাই এবার সকাল শুরু হবে একদম অন্যরকমের চা দিয়ে। আর সেই চা যদি ভিটামিন সি এর অভাব মেটাতে পারে তাহলে তো আর কথাই নেই। এমনই এক বিশেষ ধরনের চায়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো আজকের প্রতিবেদনে।
আমরা কথা বলছি কমলালেবুর চা (Orange Tea) নিয়ে। কি ভাবছেন? কমলা লেবু দিয়ে আবার চা তৈরি হয়? হ্যাঁ হয়। এবং তা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারীও বটে। শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি প্রবেশ করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। তাই কমলালেবু দিয়ে তৈরি এই চা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন এই চা কিভাবে বানাবেন সেই পদ্ধতিটা আগে জেনে নেওয়া যাক।
কমলালেবুর চা (Orange Tea) বানাতে চাইলে প্রথমে একটি কমলা লেবুকে মাঝ বরাবর কেটে নিন। তারপর সেই লেবুর কোয়াগুলিকে গরম জলে ফোটাতে শুরু করুন। পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে ভালো করে ছেঁকে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। লেবুর যে খোসাটি বের হবে তাতে গোল করে বেশ কয়েকটি ফুটো করে নিন। এরপর চায়ের কাপের উপরে সেই খোসা বসিয়ে তার উপর চা পাতা দিয়ে দিন এবং উপর থেকে কমলা লেবুর কোয়া ফোটানো ওই গরম জলটা ঢেলে দিন। পরিবেশনের সময় এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ব্যাস তাহলেই আপনার স্বাস্থ্যকর কমলা লেবুর চা তৈরি।
আরো পড়ুন: বাড়বে না বয়স, মজবুত থাকবে হাড়, এই ছোট্ট একটি ফলের গুনে
খেয়াল রাখবেন, কমলালেবুর খোসায় করা ফুটোগুলো যেন খুব বেশি বড় না হয়। ফুটোগুলো এমন ভাবে করতে হবে যাতে চা পাতা ভেজানো মিশ্রণ কাপের মধ্যে ধীরে ধীরে পড়ে তাতে চায়ের স্বাদ ও গন্ধ দুটোই ভালো হবে। কমলা লেবুর চায়ে (Orange Tea) ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই চা শরীরের অক্সিটেটিভ চাপ কমায়, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে। এর সাহায্যে শরীরে ফ্রি মেডিকেলের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
রোজ সকালে কমলালেবুর চা (Orange Tea) পান করলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে। এই চা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শারীরিক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এই চায়ের মাধ্যমে। এছাড়াও কমলা লেবুর কিন্তু একটি বিশেষ গুণাবলী আছে। কমলালেবুর গন্ধে মেজাজ ঠিক হতে পারে। আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হতে পারে এই কমলালেবুর চা খেলে। মানসিক চাপ ও অ্যাংজাইটি কমাতে সাহায্য করে কমলা লেবু। তাই শরীরে তরতাজা ভাব আনতে চাইলে এই চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।