Illegal construction: ১৪৪ টি বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গার নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আশাবাদী হোটেল মালিকরা

Illegal construction: ১৪৪ টি বেআইনি হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ দিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আশাবাদী হোটেল মালিকরা। পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমনি। সেখানে বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে একাধিক হোটেল। এই সমস্ত হোটেলগুলিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। তার উপর ভিত্তি করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি মন্দারমনির প্রায় ১৪৪ টি বেআইনি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা।

রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশ করেননি। বরঞ্চ জেলা শাসককে রীতিমতো ধমকে ছিলেন এই হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য। পরবর্তীতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত নির্মাণ কার্যগুলী ভাঙার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পূর্ব মেদিনীপুরে সফরে যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তার যাবার কথা রয়েছে নিকটবর্তী পর্যটন কেন্দ্র দীঘাতে। সেখানে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম মন্দির। সেই মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করতেই যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই কাজের ফাঁকেই মন্দারমনির হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে আলাদাভাবে কোন বৈঠকে বসবেন কিনা তা নিয়ে এখনো সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হোটেল মালিকরা অত্যন্ত আশাবাদী।

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মন্দারমনির ১৪৪ টি বেআইনি হোটেল (Illegal construction) ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। কিন্তু এই কাজের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ধমক খেতে হয়েছিল তাকে। এরপর মন্দারমনির হোটেল মালিকরা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার রায় অনুযায়ী আগামী ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নির্মাণগুলি ভাঙ্গার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুর সফর মন্দারমনির এই হোটেল মালিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা চায় মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে আলোচনায় বসুক, তাদের সমস্যার কথাগুলি তারা সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিক।

আরো পড়ুন: ডিএলএড নিয়ে নতুন ঘোষণা শিক্ষা পর্ষদের, বিক্ষোভ শিক্ষকমহলে

২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সফরে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই সময় এখানকার যাবতীয় বেআইনি নির্মাণ (Illegal construction) সম্পর্কে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাই এখন নির্মাণগুলি ভাঙ্গার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই সেখানকার বিধায়ক অখিল গিরি সেখানে এসেছিলেন। তার কাছে হোটেল মালিকরা মিলিতভাবে আবেদন করেছেন যাতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরে নির্মাণ কার্য ভাঙ্গার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও মন্দারমনির বেআইনি হোটেল নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল নবান্নে। ডেকে পাঠানো হয়েছিল হোটেল মালিকদের। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সফরে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেননি জেলা শাসক। তবে হোটেল ব্যবসায়ীরা দলগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসতে চাইছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *