Gas Cylinder: প্রাত্যহিক জীবনে রান্নাবান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডারের গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নত জীবনযাত্রা এবং ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বাড়ার ফলে কমে আসা বাসের জায়গার কারণে এখন আর কাঠের উনুন বা কয়লার আঁচে রান্না করতে দেখা যায়না। বেশিরভাগ বাড়িতেই ঠাঁয় পেয়েছে গ্যাসের রান্নার ব্যবস্থা। এছাড়াও সহজলভ্য এবং সস্তা পরিষেবা দেওয়ার জন্যও এর বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
তবে রান্নার ক্ষেত্রে প্রায়ই একটা শঙ্কা কাজ করেই থাকে। রান্নার সময় কখন গ্যাস ফুরিয়ে যায় এবং সেটা যদি রাতের বেলা হয় তাহলেও গ্যাস পেতে অপেক্ষা করতে হয় সকাল পর্যন্ত। ফলে সকলের মধ্যেই রান্নার সময় দুশ্চিন্তা কাজ করে থাকে। তবে আর ভাবনা নয়। এবার খুব সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতেই ছোট কাজের মাধ্যমে জানতে পারবেন বাড়ির সিলিন্ডারে আর কতটা পরিমাণ (Gas Cylinder) গ্যাস রয়েছে। সব সময় ওজন পরিমাপ করে গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে থাকা গ্যাসের পরিমান নির্ণয় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তবে যদি ঘরোয়া ছোট কিছু উপায় অবলম্বন করেই এই পরিমাণ জানা যায় তাহলে উপকৃত হবেন অনেকেই।
গ্যাসের উনুনে রান্না করার সময় যদি দেখা যায় উনুন থেকে কমলা বা লালচে আগুন জ্যোতির মতো বেরিয়ে আসছে তবে এর পিছনে থাকা দুটি কারণও জানতে হবে। রান্নার সময় গ্যাসের আগুনের রং কমলা বা লালচে বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে হয় গ্যাসের উনুন বা বার্নারের পাইপে নোংরা জমেছে নাহলে সিলিন্ডারের গ্যাস শেষের দিকে এসে পৌঁছেছে। যা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই এরকম আগুনের রং পরিবর্তন হতে দেখলে অবশ্যই বার্ণারের পাইপটি পরিষ্কার করতে হবে তাও যদি কমলা রঙের আগুন বেরোয় তাহলে বুঝবেন গ্যাস ফুরিয়ে (Gas Cylinder) আসার সময় হয়েছে।
আরো পড়ুন: ভুয়ো ফোন থেকে সাবধান, অবলম্বন করুন এই পদ্ধতিগুলি
এছাড়াও আরও একটি পদ্ধতিতে গ্যাসের পরিমাণ (Gas Cylinder) পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর জন্য প্রথমে সিলিন্ডারটিকে ভালো করে মুছে তার গায়ে লেগে থাকা সমস্ত ধুলো এবং বালি মুছে ফেলতে হবে। এরপর আবারও একটি জল ভিজে কাপড় দিয়ে পুরো সিলিন্ডারটি ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর সেটিকে রোদে দিতে হবে শুকনো করার জন্য। এরপর সিলিন্ডারের যতটুকু অংশের ভিজে ভাব দ্রুত শোকাচ্ছে বুঝতে হবে ওই অংশ খালি এবং যতদূর অংশের ভিজে ভাব শোকাতে দেরি হচ্ছে বুঝতে হবে সিলিন্ডারের ওই অংশে গ্যাস এখনও বেঁচে আছে।
সিলিন্ডারের মধ্যে থাকা তরলায়িত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বাইরের উষ্ণতার চেয়েও কম উষ্ণতায় রাখা থাকে ফলে ওই অংশের জল শুকিয়ে আসতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। অন্যদিকে ফাঁকা অংশে গ্যাস না থাকায় ওই অংশের জল দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে। আর এভাবেই সহজেই বাড়িতে বসে নিজেদের গ্যাসের সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ (Gas Cylinder) দেখে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।