Airport: দেশের যাতায়াত মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবথেকে দ্রুততম মাধ্যম হলো বিমান মাধ্যম। যে মাধ্যমে খরচ একটু বেশি পড়লেও খুব কম সময়ের মধ্যেই দেশ তথা দেশসহ নানা প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যায়। আর এই বিমান পরিষেবা নিয়েই প্রকাশ্যে এলো নয়া খবর। যা যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। কি খুশির খবর শোনালো বিমান পরিষেবা? এতে যাত্রীদের কি সুবিধা?
বিমান পরিষেবার নিয়ম
সড়ক পরিবহন, রেল পরিবহনের তুলনায় বিমান পরিবহন যেমন দ্রুততর তেমনি এই পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। খুব সহজেই রেলস্টেশনের মতো বিমানবন্দরে (Airport) পৌঁছানো যায় না। এর জন্য নিরাপত্তা চেকিং, পাসপোর্ট চেকিং, গেট চেকিং, বোর্ডিং পাস সমস্ত কিছুর ঝক্কি পোহাতে হয়। তবে এয়ারপোর্ট প্রবেশের সেই নিয়মেই বড়সড় বদলের ঘোষণা করলো আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO)।
৫ দশকের নিয়মে পরিবর্তন
সারা বিশ্বজুড়ে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিগুলির জগতে ৫০ বছর ধরে চলে আসছে নানান চেকিং মাধ্যমে এয়ারপোর্টে (Airport) প্রবেশের নিয়ম। তবে এবার কয়েক বছরের মধ্যেই সেই ৫ দশকের নিয়মে আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। মূলত এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিগুলি সারা বিশ্ব জুড়ে এই নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে। যা জানিয়েছেন বিশ্বের বৃহত্তম ট্রাভেল টেকনোলজি সংস্থা Amadeus-এর ডিরেক্টর। কোন নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে এয়ারপোর্টে?
এয়ারপোর্ট (Airport) প্রবেশের নয়া নিয়ম
বিমানবন্দর প্রবেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিগুলি। আর সেই আধুনিক প্রযুক্তির নাম হলো ডিজিটাল ট্রাভেল ক্রেডেনশিয়াল। এই প্রযুক্তি চালু হলে আগামী দিনে আর কোনো চেকিংয়ের মাধ্যমে বিমান পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে না যাত্রীদের। শুধুমাত্র ডিজিটাল আইডি এবং ফেস স্ক্যানের মাধ্যমে বিমান পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সড়ক বিপ্লবে চরম অবনতি, ১২ হাজার কিমি থেকে কমে পৌঁছালো ৭ হাজার কিমিতে
নিয়ম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য
বিশেষত ফ্লাইট যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিরাপদ, স্মার্ট এবং আরো সহজতর করে তোলাই হল এই ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করার মূল উদ্দেশ্য। যার ফলে যাত্রীরা ঝঞ্ঝাটহীন ভাবে শান্তিতে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন। পাশাপাশি এই নিয়ম চালু হলে এভিয়েশন ব্যবস্থারও আরো গতি বৃদ্ধি পাবে। সময় বাঁচবে ফ্লাইট যাত্রীদের।
যাত্রীদের সুবিধা
খবর অনুযায়ী এই নয়া নিয়ম চালু হলে যাত্রীদের আর নানান চেকিংয়ের মুখে পড়তে হবে না। পরিবর্তে এয়ারপোর্টের (Airport) সম্মুখে থাকবে ফেস স্ক্যানার। যে স্ক্যানারে মুখ স্কানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স জেনে যাবে যে ব্যক্তি উপস্থিত রয়েছেন। পাশাপাশি হাতে হ্যান্ড লাগেজ থাকলেও তা ওই স্ক্যানারে স্ক্যানিং হয়ে যাবে। তবে চেকিং লাগেজ থাকলে বারবার স্ক্যান করার দরকার পড়বে না। ব্যাকড্রপের সময় একবার স্ক্যানিং করলেই হয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই নয়া নিয়ম বাস্তবায়িত হতে প্রায় দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। যা যাত্রীসহ বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে।