Debraj Roy: বাংলার বিনোদন জগতে পুজোর পরেই হল নক্ষত্রপতন। অভিজ্ঞ অভিনেতা, ভাষ্যকার চলে গেলেন অচিরেই। মাত্র ৬৯ বছর বয়সে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা দেবরাজ রায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সিনেমার টুনু।
অভিনেত্রী অনুরাধা রায় নিজের স্বামীর এই অকাল প্রয়াণে রীতিমতো শোকস্তব্ধ হয়ে গেছেন। এই বয়সে এসে প্রিয়জনকে হারানো মানে জীবনের সবথেকে বড় আঘাত পাওয়া। গতকাল সল্টলেকের আইএলএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেতা (Debraj Roy)। সূত্র মারফত জানা গেছে, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন দেবরাজ রায়। এই কারণেই তার মৃত্যু হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অভিনয় জগৎ থেকেও সরে এসেছিলেন অভিনেতা। বাংলা সিনেমাকে বহু দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা। অভিনয় করার পাশাপাশি দূরদর্শনে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন সংবাদ পাঠক হিসেবেও।
এমনকি দর্শকরা তার কণ্ঠে শুনেছে একাধিক শ্রুতি নাটক-ও। বাংলা সিনেমা জগতের এই নক্ষত্রপতন সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেতার প্রথম ছবি ছিল বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সাথে। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করে সিনেমা জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল এই অভিজ্ঞ অভিনেতা দেবরাজ রায়ের(Debraj Roy)। এই চরিত্রের জন্য আজও মানুষ তাকে মনে রেখেছে।
আরো পড়ুন: বয়স প্রায় ৬০ এর দোর গোড়ায়, এই বয়সেই আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আমির খান
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত সিনেমাতে তার চরিত্রের নাম ছিল ‘টুনু’। এই সিনেমাতে অভিনয় করেই বাংলা সিনেমা প্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন দেবরাজ রায়। সেদিন থেকে তাকে আর কখনোই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাফল্যের সিঁড়ি একের পর এক পেরিয়ে গেছেন তিনি। বহু বিখ্যাত পরিচালক যেমন মৃণাল সেন, তরুন মজুমদার, তপন সিংহ, কিংবা বিভূতি লাহার সাথে কাজ করার সুযোগ পান তিনি।
১৯৭১ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘কলকাতা ৭১’- সিনেমাতে তার অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটে দিয়েছে। এছাড়াও ‘মর্জিনা আব্দুল্লাহ’ সিনেমাতেও তিনি তার অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গোটা বাংলা সিনেমা জগৎ এই ধরনের একজন রত্নের জীবনাবসানে সত্যিই মর্মাহত। শোকাহত রঞ্জিত মল্লিক থেকে শুরু করে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের মতো একাধিক প্রবীণ অভিনেতারাও।