Fixed Deposit Interest Rate: বর্তমানে যে বিশ্বের বাজারে টাকার মূল্য কমছে তাতে তরতর করে বাড়ছে সমস্ত জিনিসের দাম। ফলে সময় থাকতেই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় শুরু করছে সাধারণ মানুষেরা। এখানেই উঠে আসছে ফিক্সড ডিপোজিটের নাম। ফিক্সড ডিপোজিট হলো এমন একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে টাকা রাখলে নিশ্চিত রিটার্ন পেয়ে যান বিনিয়োগকারীরা। তবে প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সুদের হার একই থাকেনা। একেকটি ব্যাংকে একেক রকম সুদের হার ধার্য্য করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকে সুদের হার বেশি থাকে তো কোথাও অল্প কম। সেরকমই ভারতের কয়েকটি বড়ো বড়ো ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
এইচডিএফসি ব্যাংক:
এইচডিএফসি ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে যদি কোনো বিনিয়োগকারী তিন বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করেন তবে ৭ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। এই একই সময়ে সিনিয়র সিটিজেনরা পাবেন ৭.৫ শতাংশ।
আইসিআইসিআই ব্যাংক:
ভারতের অন্যতম বড় ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হারেও (Fixed Deposit Interest Rate) রয়েছে চমক। এক্ষেত্রেও তিন বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করলে সাধারণের জন্য ৭ শতাংশ এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৭.৫ শতাংশ সুদের হার ধরা রয়েছে।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক:
এই ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষেরা পাবেন তিন বছরে ৭ শতাংশ এবং সিনিয়র সিতিজেনরা পাবেন ৭.৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটেই বাজিমাত, ফেডেরাল ব্যাংকের নতুন সুদের হার
অ্যাক্সিস ব্যাংক:
এরপরই আসে অ্যাক্সিস ব্যাংক। এখানে অন্য ব্যাংকগুলোকে ছাপিয়ে সাধারণ ভারতবাসীরা পাবেন ৭.১ শতাংশ হারে সুদ। এবং সিনিয়র সিটিজেনরা পাবেন ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ।
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া:
ভারতের বৃহত্তম এই ব্যাংকে তিন বছরের ফিক্সড ডিপোজিট করলে সুদের হার (Fixed Deposit Interest Rate) হিসেবে সাধারণ ব্যক্তিরা পাবেন ৬.৭৫ শতাংশ এবং সিনিয়র সিটিজেনরা পাবেন ৭.২৫ শতাংশ।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক:
এই ব্যাংকে সাধারণদের জন্য সুদের হার রেখেছে ৭ শতাংশ এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সেই পরিমাণ দাঁড়ায় ৭.৫ শতাংশ।
তবে লোভের বসে ফিক্সড ডিপোজিট না করে বিনিয়োগের আগে ব্যাংক থেকে ভালো করে খোঁজ খবর নিতে হবে। যেহেতু ব্যাংক গুলি কয়েকমাস অন্তর অন্তর সুদের হারের পরিবর্তন আনে তাই সেই বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে। ফিক্সড ডিপোজিটে (Fixed Deposit Interest Rate) বিনিয়োগের আগে সমস্ত নথি এবং সুদের হার খতিয়ে দেখে তবেই বিনিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।