BCCI: আগের তুলনায় আরও ধনী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো তহবিলের পরিমাণ

BCCI: পৃথিবীতে জনপ্রিয়তম খেলাগুলোর মধ্যে মোটামুটি ভাবে ক্রিকেটের স্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ ঠিক ফুটবলের পরেই। তবে পৃথিবীর সবথেকে জনবহুল দেশ আমাদের ভারতবর্ষে জনপ্রিয়তম খেলাটির নাম হল ক্রিকেট। ক্রিকেটের যেকোনো ধরনের ফর্ম্যাটে যেকোনো খেলাতেই হাজির হয় হাজার-হাজার দর্শক। আর সেই দর্শকের টানেই ছুটে আসে কোটি কোটি টাকার স্পনসরশিপ। এই সব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, স্পনসরশিপ, টিভি স্বত্বের টাকাতেই ফুলে ফেঁপে উঠছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

এমনিতেই বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট বোর্ড হল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই (BCCI)। ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির উপার্জিত মোট অর্থেরও সিংহভাগই আসে ভারতীয় বাজার থেকে। যার ফলে আইসিসির উপরেও বকলমে একটা কর্তৃত্ব রয়েছে বিসিসিআই-এর। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই রাজত্ব খুব বেশি দিনের নয়। এই শতকের গোড়া থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জগমোহন ডালমিয়ার হাত ধরেই এই উত্থান ঘটেছে। যা বর্তমানে বয়ে চলেছে সৌরভ গাঙ্গুলী-রজার বিনির মতো বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের হাত ধরে।

ভারতীয় ক্রিকেটের কোষাগারের এই ফুলে ফেঁপে ওঠার পেছনে আইপিএলেরও এক বিশেষ ও অনন্য অবদান রয়েছে। আইপিএল নিঃসন্দেহে বিশ্বের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটগুলির মধ্যে কোয়ালিটি এবং জনপ্রিয়তায় সেরা লীগ। যার ফলে এই লীগে টাকার ঝনঝনানিও অন্যান্য লীগের তুলনায় বহু যোজন বেশি। যখনই কোন ক্রিকেট দল আর্থিকভাবে নিম্নগামী হয়েছে তখনই তারা ভারতের সঙ্গে সিরিজ খেলতে চেয়েছে। কারণ ভারতের সাথে বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা মানেই প্রচুর স্পন্সরশীপের আগমন এবং উপচে পড়বে টাকা ঝুলি।

আরো পড়ুন: অবসর ঘোষণা অশ্বিনের, অবাক অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সও

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) কাছে কত টাকা রয়েছে তা বোঝা যায় এই পরিসংখ্যানটির দ্বারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, গত অর্থবর্ষে ভারতীয় বোর্ডের কাছে ১৬৪৯৩ কোটি টাকা ছিল। এবার তা ৪২০০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬৮৬ কোটি টাকা। আর এই টাকাটি মূলত এসেছে আইপিএল এবং বিভিন্ন দেশের সাথে খেলা দ্বীপাক্ষিক সিরিজের মিডিয়া ও টিভি স্বত্ব বিক্রি করে।

২০২২ সালের জুন মাসে বিসিসিআই পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করে উপার্জন করেছিল ৪৮৩৯০ কোটি টাকা। বিসিসিআইয়ের (BCCI) ধারণা ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তাদের উপার্জন দাঁড়াবে ৭৪৭৬ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেই রোজগার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯৯৫ কোটি টাকা। যার ফলে ভারতীয় বোর্ডের তহবিলের পরিমাণও ৬৩৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭৯৮৮ কোটি টাকাতে পৌঁছে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *