কেরাটিন ট্রিটমেন্ট হল চুলের একটি প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, যা চুলের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহৃত হয়। এই ট্রিটমেন্ট শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলে এনে দেয় সিল্কি, শাইনি ভাব। আজকালকার যুগে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট খুবই কমন। এখন ট্রেন্ডে থাকার জন্য অনেকেই এই ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন। অনেকে আবার প্রয়োজন ছাড়াই এই ট্রিটমেন্ট করান। তাই যেকোনো ট্রিটমেন্ট করানোর আগে এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন।
মানুষের চুল, ত্বক ও নখের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান হল কেরাটিন। চুল মজবুত করতে খুবই জনপ্রিয় কেরাটিন ট্রিটমেন্টে। এতে চুলে কেরাটিন নামক রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। যার ফলে চুল যেমন জটমুক্ত হয়, তেমনি এটিতে চুলে মসৃণ ভাব আসে। এক্ষেত্রে চুলে প্রথমে হেয়ার স্ট্রেটনিং কেমিক্যাল লাগানো হয়। তারপর স্ট্রেটনারের সাহায্যে উষ্ণতায় কেরাটিনের গুণ ধরে রাখা হয়। মোটামুটি দেড় ঘন্টা মত সময় লাগে কেরাটিন ট্রিটমেন্টে। এটি সাধারণত দু থেকে চার মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
তবে পার্লারে ব্যবহৃত এই রাসায়নিক চুলে ব্যবহারের ফলে চুল যেমন ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনি আবার এটি খরচ সাপেক্ষও বটে। এর স্থায়িত্বও খুব বেশি নয়। তাই বাড়ি বসে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কিভাবে এই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করবেন, জেনে নিন। এই ঘরোয়া প্যাকের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি সসপ্যানে দু-কাপ গরম জল ফোটাতে হবে। জল ফোঁটা শুরু হলে এর মধ্যে একবাটি চাল দিতে হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। এরপর এতে সামান্য চায়ের লিকার মেশাতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্বকের চুলকানি ভোগাচ্ছে? জেনে নিন এর থেকে মুক্তির উপায়
তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে মিশ্রণটি ব্লেন্ড করে নিয়ে একটা থকথকে প্যাক বানাতে হবে। এরপর এর সাথে এলোভেরা জেল, অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া কেরাটিন প্যাক। স্নানের আগে স্ক্যাল্পে ও চুলের লেন্থে এই প্যাক লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
সপ্তাহে মাত্র দু থেকে তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করলেই আপনি ফল পাবেন। এই ঘরোয়া কেরাটিন ট্রিটমেন্ট চুলে ড্যামেজ কমাবে, চুলের জেল্লাও বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, সি সমৃদ্ধ এই প্যাক আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।